‘পাকিস্তান শান্তির পক্ষে, তা আমেরিকা বোঝে’ – ভারতের কড়া জবাবের মুখে পাকিস্তান সেনার অদ্ভুত বক্তব্য

ভারতের জবাব খেয়ে এবার শান্তির বুলি আওড়াল পাকিস্তান সেনা। পাক সেনার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরী শনিবার এক আজব দাবি করে বলেন, “পাকিস্তান হিংসাত্মক দেশ নয়। তারা হিংসা চায় না। বরং শান্তি চায়। সেই কারণেই আমেরিকার মধ্যস্ততায় সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসলামাবাদ।”

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর যখন পাকিস্তানকে ফের আন্তর্জাতিক মহলে সন্ত্রাসে মদতদাতা দেশ হিসেবে তুলে ধরছে ভারত, ঠিক সেই সময় এমন শান্তির বার্তা দিলেন পাক সেনা প্রতিনিধি। তাঁর দাবি, “পাকিস্তানের মানুষের মনোভাব আমেরিকা বুঝতে পারে।”

পাক সংবাদমাধ্যম ডন-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, আহমেদ শরিফ চৌধরীর মন্তব্যের মধ্য দিয়ে ইঙ্গিত মিলছে যে পাকিস্তান নিজের ভাবমূর্তি রক্ষায় মরিয়া। ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পহেলগাঁওয়ের ঘটনার নিন্দা করেছিল ইসলামাবাদ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তোলে। যদিও পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, দুই প্রতিবেশী পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরবর্তীতে আমেরিকার মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির চুক্তি হয়।

এই প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ বলেন, “আমরা হিংসাত্মক দেশ নই। আমরা একটি দায়িত্বশীল দেশ। আমরা শান্তি চাই। শান্তি স্থাপনই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।” আমেরিকার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমেরিকার মতো মহান এবং সংবেদনশীল দেশই পাকিস্তানের মানুষের মনোভাব ভালো বুঝতে পারে।”

তবে এখানেই থেমে থাকেননি আহমেদ শরিফ। সংঘর্ষবিরতি নিয়ে ভারতীয় অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত কথা বলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তাঁর বক্তব্য, “ভারতের প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র ব্যক্তিগতভাবে সংঘর্ষবিরতির জন্য অনুরোধ করেছিলন।” যদিও এই অনুরোধ সরাসরি পাকিস্তানকে জানানো হয়েছিল, নাকি আমেরিকাকে, সে বিষয়টি তিনি পরিষ্কার করে বলেননি।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এই সংঘর্ষবিরতির কথা প্রথম প্রকাশ্যে আনেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনিই এই বিষয়ে একাধিকবার কৃতিত্ব দাবি করেন। তবে ভারত প্রথম থেকেই সাফ জানিয়ে দেয়, যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাকিস্তান। এরপরই পাকিস্তানের ডিজিএমও হটলাইনে ভারতের ডিজিএমও-র সঙ্গে যোগাযোগ করে সংঘর্ষবিরতির অনুরোধ জানান। কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা শেষে ভারত তাতে সম্মত হয়।