রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়িত, রেশন কার্ডেই মিলছে জগন্নাথের প্রসাদ

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়িত, রেশন কার্ডেই মিলছে জগন্নাথের প্রসাদ - West Bengal News 24

এবার আর বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের ঝামেলা নেই—দিঘার জগন্নাথদেবের প্রসাদ পেতে শুধু রেশন কার্ড দেখালেই চলবে। রেশন দোকানে খাতায় সই করেই মিলবে এই মহাপ্রসাদ।

এই বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, “আগামী ২০ তারিখ থেকে দক্ষিণবঙ্গে জগন্নাথদেবের প্রসাদ বিলি করা হবে।” স্বাভাবিক নিয়মে রেশন নেওয়ার সময় যেমন বায়োমেট্রিক যাচাই করা হয়, তেমনটা প্রসাদ বিতরণের ক্ষেত্রে করা হবে না। কারণ, এতে অতিরিক্ত জটিলতা তৈরি হতে পারে, সেই আশঙ্কা আগেভাগেই বিবেচনায় নিয়ে নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত।

প্রসঙ্গত, দিঘায় জগন্নাথ ধামের উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে জগন্নাথ দেবের প্রসাদ।” সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের মাধ্যমেই এই প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে বায়োমেট্রিক যাচাই বাধ্যতামূলক, তবে প্রসাদ দেওয়ার সময় তা প্রয়োগ করলে বিভ্রান্তি হতে পারে—এমনটাই মনে করছে প্রশাসন। তাই সহজ ও ব্যাঘাতহীন বিতরণের জন্য রেশন কার্ড ও স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।

গত ৯ জুন, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে নিবেদন করা হয়েছে বিশেষ মহাপ্রসাদ। সেই প্রসাদ ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক স্তরে পৌঁছে গিয়েছে এবং বিতরণ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে মহকুমা শাসকদের তত্ত্বাবধানে।

প্রসঙ্গত, ওই দিন প্রায় ৩০০ কেজি খোয়া ক্ষীর নিবেদন করা হয়েছিল জগন্নাথদেবের চরণে। এরপর তা ভাগ করে বিতরণ করা হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী গজা ও পেঁড়ার সঙ্গে খোয়া ক্ষীর মিশ্রিত এই মহাপ্রসাদ রথযাত্রার আগেই পৌঁছে যাবে সাধারণ মানুষের কাছে। জেলার বহু মানুষ এই উদ্যোগে উচ্ছ্বসিত।

এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা—কবে হাতে এসে পৌঁছবে সেই প্রতীক্ষিত মহাপ্রসাদ।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য