জানা-অজানা

ওসামা বিন লাদেন কীভাবে জঙ্গি হলেন? জানালেন তার মা

ওসামা বিন লাদেন কীভাবে জঙ্গি হলেন? জানালেন তার মা - West Bengal News 24

মনে আছে বিশ্বের মোস্ট ওয়ান্টেট সন্ত্রাসী শুনলেই ওসামা বিন লাদেনের কথা ? ওসামা বিন মুহাম্মদ বিন আওয়াদ বিন লাদেন সৌদী আরবে জন্মগ্রহণকারী একজন মুসলিম সংগ্রামী যোদ্ধা যাকে আল কায়েদা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সাধারনত তিনি ওসামা বিন লাদেন বা উসামা বিন লাদেন নামে পরিচিত।

বিন লাদেন বিশেষভাবে ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার জন্য বহুলভাবে পরিচিত। অন্য কয়েকজন ইসলামী জঙ্গীর সাথে মিলে ওসামা বিন লাদেন দুইটি ফতোয়া জারি করেন; একটি ১৯৯৬ সালে, অন্যটি ১৯৯৯ সালে । তার ফতোয়াটি ছিল, ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের উচিত মার্কিন সামরিক ও বেসামরিক জনগণকে হত্যা করা যতক্ষণ না যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের প্রতি সব সহায়তা বন্ধ করে এবং সব মুসলিম দেশ থেকে সামরিক শক্তি অপসারণ করে।

ওসামা বিন লাদেন মার্কিন নেভি সিলের সদস্যদের হাতে নিহত হওয়ার অনেক বছর পর তা মা আলিয়া ঘানেম প্রথমবারের মতো সংবাদমাধ্যমে ছেলেকে নিয়ে কথা বলেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের সঙ্গে আলাপচারিতায় মা লাদেন সম্পর্কে বেশ কিছু অজানা তথ্য জানিয়েছেন।

তার বর্ণনায় উঠে এসেছে সিরিয়ায় কাটানো শৈশব থেকে শুরু করে আফগানিস্তানে সোভিয়েত রাশিয়ার বিরুদ্ধে তার মুজাহিদ জীবন। আর দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদক তুলে এনেছেন সৌদি আরবের যে আর্থসামাজিক ও ধর্মীয় পরিস্থিতির মধ্যে ওসামা উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়েন।

আলিয়া ঘানেম ১৯৫০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে সৌদি আরবে আসেন। ১৯৫৭ সালে রিয়াদে জন্ম হয় ওসামার। তিন বছর পর ওসামার বাবার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার।

পরে সবে যাত্রা শুরু করা বিন লাদেন সাম্রাজ্যের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা আল-আত্তাসকে বিয়ে করেন আলিয়া। ওসামার বাবা ৫৪ সন্তানের জনক হন। তার অন্তত ১১ জন স্ত্রী ছিলেন।

ওসামার মা জানান, সে যাদের সঙ্গে মিশেছিল তাদের একজন ছিল মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য আবদুল্লাহ আজ্জাম। পরে এই ব্যক্তিকে সৌদি আরব থেকে নির্বাসিত করা হয়। কিন্তু ততদিনে সে ওসামার আধ্যাত্মিক পরামর্শকে পরিণত হয়েছে। ১৯৮০ দশকের শুরুতে ওসামা আফগানিস্তানে পাড়ি জমান রাশিয়ার দখলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। ওসামা জঙ্গি হয়ে উঠতে পারে এমন আশঙ্কা করেছিলেন কখনো এ প্রশ্নের জবাবে আলিয়া বলেন, আমার মাথায় এটা কখনো আসেনি।

যখন বুঝতে পারলেন ওসামা জঙ্গি হয়ে উঠেছিলেন তখন অনুভূতি কেমন ছিল জানতে চাইলে বলেন, আমরা খুব হতাশ হয়ে পড়ছিলাম। লাদেনের মা জানান, ১৯৯৯ সালে পরিবারের লোকজন ওসামার সঙ্গে সর্বশেষ সাক্ষাৎ করেছিল। ওই বছর কান্দাহারের কাছে একটি ঘাঁটিতে পরিবারের সদস্যরা দুবার গিয়েছিলেন।

তবে ওসামার সত্ভাই বলেন, ওসামার জঙ্গি জীবনের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন না মা। ৯/১১ হামলার ১৭ বছর পার হলেও হামলায় ওসামা জড়িত, তা এখনো মেনে নিতে পারেননি মা। আহমেদ বলেন, মা তাকে (ওসামা) খুব ভালোবাসতেন এবং তাকে দায়ী করতে চান না। তিনি পরিস্থিতিকে দায়ী করতে চান। তিনি শুধু ছেলের ভালো দিক সম্পর্কে জানেন। আমরা সবদিক দেখেছি। কিন্তু তিনি তার জিহাদি দিক সম্পর্কে জানেন না কিছুই।

নিউইয়র্ক থেকে প্রথম যখন হামলার খবর শুনেছিলেন ওই সময়ের কথা জানিয়ে আহমেদ বলেন, আমি খুব আঘাত পাই, স্তব্ধ হয়ে যাই। খুব অদ্ভুত ধরনের অনুভূতি ছিল। আমরা শুরু থেকেই, প্রথম ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই জানতাম (হামলায় ওসামা জড়িত)। ছোট থেকে বড় সবাই লজ্জিত ছিলাম। আমরা সবাই জানতাম আমাদের ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সব দেশ থেকে পরিবারের সদস্যরা সৌদি আরবে চলে এলো।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য