করোনা আতঙ্কে সদ্যজাতসহ মা’কে বাড়িতে ঢুকতে দিল না বাড়িওয়ালা !
করোনা আতঙ্ক বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হল না হাসপাতাল থেকে আসা সদ্যোজাতসহ স্বামী স্ত্রীকে। ঘটনার অভিযোগ বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধেই। বাড়িতে ঢুকতে না পেরে তাঁরা অন্য একটি ফ্ল্যাটে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়া পুরসভার ২৭ নং ওয়ার্ডের নোনা শিবতলায়। জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত শঙ্খ হাইত স্ত্রী ও মা বাবাকে নিয়ে গত বছর দুই ধরে নোনা শিবতলার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গত বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তির স্ত্রী শম্পা উলুবেড়িয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
অভিযোগ, সোমবার স্বামী স্ত্রী তাদের সদ্যজাতকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে এলে তাঁদের বাড়িওয়ালা ঘরে ঢুকতে বাধা দেন। শুধু এই টুকুই নয়, আরও অভিযোগ ৩০ এপ্রিলের মধ্যে তাদের বাড়ি খালি করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। একাধিকবার আবেদনও বাড়িওয়ালা তাদের ঘরে ঢুকতে না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত একটি ফ্ল্যাটে সদ্যোজাতকে নিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে ওই দম্পতিকে।
ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযোগকারী শঙ্খ হাইত বলেন, ‘ ঠিক কী কারণে আমাদের ঘরে থাকতে দেওয়া হবে না, বাড়িওয়ালা সেটা পরিস্কার করে না বললেও তার আকার ইঙ্গিতে আমরা বুঝতে পারি হাসপাতাল থেকে আসায় আমাদের প্রতি এই অবিচার।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘লক ডাউনের মাঝে এখন ঘর ছাড়া অসুবিধা বলায় বাড়িওয়াল জলের ও ইলেকট্রিক লাইন কেটে দেওয়ার হুমকি ও দেয়।
আমাদের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া নয় ,আমার মা বাবাকেও নতুন বাড়িতে আসতে দেওয়া হচ্ছে না।’ সদ্য সন্তানের জন্ম দেওয়া শম্পা হাইত জানিয়েছেন, ‘ভাড়া বাড়ি থেকে একটি বিছানা ও কয়েকটি বাসনপত্র নিয়ে নতুন একটি ফ্ল্যাটে আসলেও শশুর শাশুড়িকে আসতে না দেওয়ায় সমস্যায় আছি। বিশেষ করে লক ডাউনের এই সময় সমস্যা আরও বেড়েছে ।’ অন্যদিকে বাড়িওয়ালা মমতা মান্না জানান তার কিছু সমস্যার কারণে তিনি তাদের ঘরে ঢুকতে দেননি।এমনকি আগামী ২১ দিন পর্যন্ত তাদের ঘরে ঢুকতে দেবেনা না বলেও জানান।
অমানবিক ঘটনা দেখে হতভম্ব প্রতিবেশীরা। বিষয়টি নিয়ে উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। ওই ভদ্রমহিলা একটা মিথ্যা আতঙ্কে সদ্যজাত ও তার মা বাবাকে ঘরে ঢুকতে দেননি। আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে ওদের ঘরে ঢোকানোর ব্যবস্থা করব।’
সুত্র: DNA বাংলা