ক্ষয়ক্ষতি সামলাতে রাজ্য ব্যর্থ, আপনিই হাল ধরুন: প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি অধীরের !
ওয়েবডেস্ক : কলকাতা, ঘূর্ণিঝড় আমফান’-এর ধাক্কায় বিপর্যস্ত বাংলা। বহু এলাকায় বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে গিয়েছে, ঘর-বাড়ি ভেঙেছে, চাষের ক্ষতিও হয়েছে বিপুল। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সরকারের এখনও কোনও আশানুরূপ পদক্ষেপ দেখা যায় নি।
মমতার সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চাইলেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছেন অধীর চৌধুরী।
সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলার বিপুল অঞ্চল জলমগ্ন, এমনকি সমুদ্রের নোনা জল ঢুকে গেছে, পানীয় জলের চরম সংকট, বিভিন্ন পশুপাখির পচনশীল মরদেহ জলকে আরও দূষিত করছে।
পশ্চিমবঙ্গের বিরাট অংশে বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, এমনকি রাজধানী কলকাতাতেও একই অবস্থা, বিদ্যুতের অভাবে এই গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহে বহু মানুষের জীবন বিপন্ন, বহু অসুস্থ মানুষের পরিস্থিতি অত্যন্ত শোচনীয় গত সাত দিন বিদ্যুত্ পরিষেবা ব্যহত রয়েছে,
অধীর লিখেছেন, রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করতে চরম ব্যর্থ, সেইকারণে আপনাকে অনুরোধ, যত শীঘ্র সম্ভব রাজ্য সরকারের সম্মতিক্রমে বিপর্যস্ত এলাকায় পর্যাপ্ত ভারতীয় সেনা নামিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করুন, নতুবা, আগামী দিনে গোটা রাজ্য চরম সঙ্কটের সম্মুখীন হবে।
‘এখনও পর্যন্ত বাংলার জন্য এক হাজার কোটি টাকা সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্যের জন্য আরও সহায়তা ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছেন অধীর।
লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছিলেন, ‘এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আপনার দিক থেকে বাংলার দিকে আরও মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। রাজ্যের প্রায় অর্ধেক মানুষ যেখানে বিপর্যস্ত, সেখানে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে গেলে কোনও কাপর্ণ্য না করে আর্থিক সহায়তা চাই।’
একই সঙ্গে আমফান পরবর্তী বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিধেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আপনি কর্মীর মতো না ঘুরে নেত্রীর মত নির্দেশ দিন। তাহলেই কাজ হবে। বিপর্যয় মোকাবিলায় রাজ্যের শুরু থেকেই পরিকল্পনার অভাব ছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন অধীর চৌধুরী।
সুত্র: কলকাতা24×7