যে ৯টি লক্ষণ মিলে গেলে বুঝবেন আপনার ওজন কমানো অত্যন্ত জরুরী!
ওজনটা বেড়ে গেছে বোঝার পরেও সেটা কমানো নিয়ে অনেকেই অবহেলা করেন। ওজন কমাতে গেলে যে খাটনিটুকুন করতে হয়, সেটা করতে রাজি নন অনেকেই। আর তাই ওজনটা বাড়তেই থাকে প্রতিনিয়ত। কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে শারীরিক নানান জটিলতা। ফলে ভুগতে হয় নানান রকমের অসুখ বিসুখে।
কিছু বিশেষ লক্ষণ আছে যেগুলো মিলে গেলে অতিসত্বর ওজন কমানো উচিত আপনার। জেনে নিন লক্ষণগুলো সম্পর্কে।
১)ব্যায়াম করতে অস্বস্তি
ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে ব্যায়াম করতে অস্বস্তি অনুভূত হবে। তখন আপনি ঘন ঘন ব্যায়ামে ফাঁকি দেয়া শুরু করবেন। কিছুক্ষণ ব্যায়াম করলেই অনেক বেশি হাঁপিয়ে যাবেন এবং প্রচন্ড ঘামে ক্লান্তি লাগবে আপনার।
২)সিঁড়ি ভাঙতে কিংবা হাঁটতে গেলে দ্রুত হাঁপিয়ে যাওয়া
প্রতিদিনের স্বাভাবিক হাঁটাচলা এবং সিঁড়ি ভাঙাই আপনার কাছে অনেক কঠিন কাজ মনে হবে। সিঁড়ি বেয়ে দোতলা উঠতেই আপনি হাঁপানো শুরু করবেন। অল্প পথ হাঁটতে গেলেও আপনার মনে হবে রিকশা নেয়া উচিত ছিলো।
৩)নাক ডাকা
ওজন বেড়ে গেলে নাক ডাকার সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। গলায় ও কাঁধে অতিরিক্ত মেদ জমে গেলে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যাজনিত কারণে আপনি নাক ডাকার সমস্যায় ভুগতে পারেন। এমন পরিস্থিতে দ্রুত অতিরিক্ত মেদ কমানো উচিত আপনার।
৪)ঘন ঘন মাংসপেশীর ব্যথা
ত্বকের নিচের ফ্যাটি টিস্যু গুলোর কারণে ঘন ঘন মাংসপেশীর ব্যথা হতে পারে আপনার। যাদের বিএমআই অনেক বেশি তারা এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। এক্ষেত্রে দ্রুত ওজন কমানোর চেষ্টা শুরু করা উচিত।
৫) প্রচুর খাওয়ার পরেও ক্ষুধা থেকে যাওয়া
আপনার যদি সবসময়েই ক্ষুধা থাকে এবং অনেক খেলেও ক্ষুধা নিবারণ না হয় তাহলে আপনার অতি স্বত্ত্বর ওজন কমানো উচিত। ভুল খাবার নির্বাচনের কারণে এই সমস্যা হতে পারে আপনার। অতিরিক্ত ফাস্টফুড, মিষ্টি, ভাজাপোড়া ইত্যাদি খাবার খেলে মেদ বাড়ে এবং ক্ষুধা নিবারণ হয়না।
৬)সব সময়েই ক্লান্তি ও ঝিমুনি
দিনের বেশিভাগটা সময়েই যদি আপনার ক্লান্তি অনুভূত হয় এবং যেখানেই বসেন সেখানেই ঝিমুতে থাকার অভ্যাস থাকে, তাহলে আপনি নিয়মিত ব্যায়াম শুরু করে দিন। অতিরিক্ত ওজনের কারণে আপনার এই ক্লান্তি অনুভূত হচ্ছে।
৭)কোমরের মাপ ৩৫ ইঞ্চির চাইতে বেশি
কোমরের মাপ যদি ৩৫ ইঞ্চি বা তার চাইতে বেশি হয় তাহলে আপনি জরুরি ভিত্তিতে ওজন কমানোর পদক্ষেপ নিন। কারণ কোমরের মাপ এতো বেশি হলে আপনার হৃদপিন্ডে সমস্যা দেখা দিতে পারেন এবং শরীরের স্বাভাবিক কার্যপ্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।
৮) হাঁটুর ব্যথা
অতিরিক্ত ওজনের কারণে হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে কিংবা হাঁটাচলা করলেই হাঁটুতে ব্যথা শুরু হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার ওজনটাকে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত।
৯)অতিরিক্ত রক্তচাপ ও কোলেস্টরল সমস্যা
আপনার ডাক্তার যদি জানিয়ে দেয় যে আপনার অতিরিক্ত রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে তাহলে আপনার অতিস্বত্ত্বর ওজনটাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা উচিত। কারণ অতিরিক্ত ওজন থেকে মুক্তি পেলে আপনার উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলটাও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।