রান্নাঘর থেকে গ্রন্থাগারে জায়গা পেলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী
জীবনের একটা অধ্যায়ে যেমন নকশাল আন্দোলন করেছেন। পরবর্তীতে হয়ে উঠেছিলেন সাহিত্যিক। ঝুলিতে পুরস্কারও রয়েছে। কিন্তু অর্থের জন্য এখনও পরিশ্রম করতে হয় সত্তরোর্ধ্ব মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে (Manoranjan Byapari)। কিন্তু শরীর সায় দিচ্ছে না। সেই কথাই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। খবর পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিদ্যানগর জেলা গ্রন্থাগারে নিয়োগ করা হল মনোরঞ্জনবাবুকে।
১৯৫৩ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে এদেশে চলে আসেন মনোরঞ্জনবাবু। সেই থেকে ঠাঁই রিফিউজি ক্যাম্পে। বয়স ১৪-এর গণ্ডি পেরতে না পেরতেই পেটের তাগিদে দন্ডকারণ্য যান তিনি। সেখানেই জড়িয়েছিলেন নকশাল আন্দোলনে। কলকাতায় ফিরতেই ঠাঁই হয় শ্রীঘরে।
[ আরও পড়ুন : সুশান্তের অ্যাম্বুলেন্সের পাশে দাঁড়ান সেই রহস্যময়ী কি ফারহান আখতারের প্রেমিকা শিবানি? ]
পরে খিদের জ্বালায় শুরু করেন রিক্সা চালানো। এরপরই মোড় ঘুরে যায় জীবনের। বিখ্যাত সাহিত্যিকের সংস্পর্শে আসার পরই লেখালেখি শুরু করেন তিনি। বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কৃতও করে তাঁকে। কিন্তু এত প্রাপ্তি সত্ত্বেও তাঁর জীবন সংগ্রাম থামেনি।
জানা গিয়েছে, অর্থ উপার্জনের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই রাঁধুনির কাজ করছিলেন তিনি। এই বয়সে যা অত্যন্ত পরিশ্রমের। সম্প্রতি সেকথা জানিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন মনোরঞ্জনবাবু। আবেদন করেছিলেন একটা কাজের ব্যবস্থা করার। সেই আবেদন পাওয়া মাত্রই পদক্ষেপ নেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রন্থাগারে নিয়োগের খবরটি পাওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন লেখক।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন