রাজ্য

এখনই লকডাউনের কোনও ভাবনা নেই : মমতা

এখনই লকডাউনের কোনও ভাবনা নেই : মমতা - West Bengal News 24

প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্য সরকার স্থানীয় স্তরে লকডাউন ঘোষণা করেছে। কোথাও জারি করা হয়েছে কার্ফু। কোথাও রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করা হয়েছে। কলকাতায় সংক্রমণ সাড়ে ৮ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেলেও এখনও তেমন বড় কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করেনি রাজ্য।

সোমবারই ঘোষণা করা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে বন্ধ থাকবে স্কুল। গরমের ছুটি এগিয়ে নিয়ে এসে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপরেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়। মালদহ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

তিনি জানান, সবাইকে সচেতন করব, কিন্তু ভয় দেখাবো না। এই সাংবাদিক সম্মেলন থেকে কোনও রাজনৈতিক কথা নয়। এখনই লকডাউনের কোনও চিন্তা নেই। লকডাউন করলেই সব কমে যাবে? মানুষকে একটু সময় দিতে হবে না? বাইরে থেকে হাজার হাজার লোক আসছে, করোনা সেখানেও ছড়াচ্ছে। লকডাউন করলে তো মানুষের কষ্ট হবে।

আরও পড়ুন : কাল থেকে স্কুল বন্ধ রাজ্যে, কোভিড পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত শিক্ষা দফতরের

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। নির্বাচন ঘোষণার সময় ভাল করে ভাবা উচিত ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারেরও ভাবা উচিত ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার এতদিন কিছু করেনি। বিভিন্ন সরকারি হোটেলে সেফ হোম তৈরি করা হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের আরটিপিসিআর করোনা পরীক্ষা করার কথা বলেছি। আমরা চেষ্টা করব, ঝড় আসলে ঝড় মোকাবিলা করার। ভয় পাবেন না, আতঙ্কিত হবেন না।

সভা বাতিল করলেও আমি মানুষের পাশে আছি। অনেকের টিকা নেওয়ার পরেও করোনা হচ্ছে। অনেকগুলো জায়গা নির্বাচন কমিশন নিয়ে নিয়েছে, তাই জায়গার অভাব রয়েছে। আমি অনুরোধ করেছিলাম, শেষ দফার নির্বাচন একসঙ্গে করতে, কিন্তু করা হয়নি। তাই অসুবিধা হয়েছে। বিহারে তিনটি দফা হয়েছে, বাংলায় কেন ৮টি দফা? আর করোনার পরিস্থিতি এখন বাড়াবাড়ি হয়েছে, এখন তো ভাবা উচিত।

যু্দ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করতে নির্দেশ। ছোট ছোট সভা করা হবে নির্বাচনের প্রচারে। কলকাতায় ২৬ তারিখ একটিই বড় সভা। কার্ফু কোনও সমাধান নয়। রাত্রীকালীন কার্ফু করে কিছু হবে না। ভয় পাওয়ার বা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে মৃত্যু কম লাগে। টিকা কম আছে, কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি না দিলে রাজ্য সরকার টিকা কিনতে পারে না। সেই অনুমতি দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। রাজ্যে টিকা, অক্সিজেনের বিপুল প্রয়োজন।

ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর দেওয়া হচ্ছে। অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালাতে হবে। আতঙ্কে নয়, সচেতন থাকতে হবে। রাজ্যজুড়ে ৪০০ অ্যাম্বুল্যান্স কাজ করবে। যাঁদের প্রয়োজন তাঁরাই হাসপাতালে ভর্তি হন, যাঁদের প্রয়োজন নেই, তাঁরা ভর্তি হবেন না।

অকারণ ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা পরিস্থিতি সামলাচ্ছি। বাইরে থেকে অনেক লোক আসছে, সেই কারণে করোনা সংক্রমিত হচ্ছে। বাজারে অনেক ওষুধ, ইত্যাদি পাওয়া যাচ্ছে না। টিকাও পাওয়া যাচ্ছে না। সাড়ে চার হাজার বেড বাড়বে রাজ্যে। ১০০টি হাসপাতাল করোনার জন্য তৈরি করা হয়েছে, বেসরকারি ৫৮টি হাসপাতাল নেওয়া হয়েছে। ২০০ সেফ হোম তৈরি হয়েছে, সেখানে ১১ হাজার শয্যা রয়েছে। রাজ্য সরকার সবরকম পদক্ষেপ করছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য