করোনার সংক্রমণ বাড়ার জন্য ৫জি নেটওয়ার্ক কোনোভাবেই দায়ী নয়, জানিয়ে দিল কেন্দ্র
মোবাইলের ৫জি নেটওয়ার্কের (5G) জন্য বেশি করে ছড়াচ্ছে করোনার সংক্রমণ। এমন তথ্য কয়েকদিন ধরেই ঘুরছিল দেশের নানা অঞ্চলে। কেন্দ্রীয় টেলি যোগাযোগ মন্ত্রক এবার জানিয়ে দিল, এই তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে ৫জি নেটওয়ার্কের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। এই ধরনের ভুয়ো তথ্য সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে এবং দূরে থাকার পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্র।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রকের (Telecom Ministry) তরফে বলা হয়েছে, নানারকম অসার এবং অসত্য তথ্য মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে করোনা সংক্রমণ নিয়ে। এগুলি থেকে দূরে থাকা উচিত। আরও বলা হয়েছে, ৫জি নেটওয়ার্কের পরীক্ষাই এখনও শুরু হয়নি দেশের কোথাও। ফলে সেই তরঙ্গের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রশ্নই ওঠে না। তাছাড়া এমন কিছু ঘটা সম্ভবও নয়।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতেই টেলিযোগাযোগ মন্ত্রক মোবাইল সংস্থাগুলিকে ৫জি নেটওয়ার্কের তরঙ্গ পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে। ভারতী এয়ারটেল (Airtel), রিলায়েন্স জিও ইনফোকম (Jio), ভোডাফোন আইডিয়া এবং এমটিএনএল – এই কয়েকটি সংস্থাকে বলা হয়েছে, গ্রামীণ, মফস্বল এবং শহর এলাকায় এই ট্রায়ালের প্রস্তুতি নিতে। এই ট্রায়াল শুরুর জন্য এরিকসন, নোকিয়া, স্যামসং, সি-ডট এবং রিলায়েন্স জিওর দেশীয় প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হবে। ফলে আপাতত চিনা প্রযুক্তি ছাড়াই 5G চালু করতে চাইছে ভারত সরকার।
মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মোবাইল টাওয়ারগুলিতে থাকে অত্যন্ত কম শক্তির নন-আয়োনাইজিং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি। যার মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত। যা কোনও জীবন্ত কোষের কোনওরকম ক্ষতিই করতে পারে না। সেলুলার অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকেও সাধারণ মানুষকে ভ্রান্ত ধারণা বা অসত্য প্রচার সম্পর্কে সতর্ক থাকার আরজি জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর ইউরোপের কিছু দেশেও গুজব ছড়ায়, ৫জি টাওয়ারের তরঙ্গ থেকেই ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস।