এবার টিকাকরণে গতি আনতে টিকার সংমিশ্রণ পরীক্ষা করবে কেন্দ্র
টিকাকরণে গতি আনতে কোভিশিল্ডের একটি ডোজ ও দুটি টিকার সংমিশ্রণের কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরু করতে চলেছে কেন্দ্র।
আগামী এক মাসের মধ্যেই দুটি সংস্থার টিকার সংমিশ্রণের কার্যকারিতা কতটা, তা নিয়ে পরীক্ষা শুরু করবে কেন্দ্র। দুই-আড়াই মাসের মধ্যেই সেই গবেষণার ফল জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
টিকাকরণের শুরুতে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছিল, করোনা টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ যেন একই সংস্থার হয়। সম্প্রতি ২০ জন টিকাপ্রাপককে ভুলবশত দুই সংস্থার দুটি ডোজ দিয়ে দেওয়ার বিষয়টি সামনে আসতেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, এতে চিন্তার কেনও কারণ নেই। এই বিষয়ে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল বলেন, ‘টিকার সংমিশ্রণ কতটা কার্যকরী, তা জানার জন্য গবেষণার প্রয়োজন।’
কেন্দ্রের তরফে আগামী জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রতিদিন দেশজুড়ে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে, তা পূরণ করতেই টিকা মিশ্রণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে দাবি। অন্যদিকে, কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে যে ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধান তৈরি করা হয়েছে, তা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কতটা কার্যকর, তাও পরীক্ষা করে দেখা হবে। কোভিশিল্ডের একটি ডোজ দিলে তা সংক্রমণ প্রতিরোধে কতটা সক্ষম, তাও যাচাই করে দেখা হবে।
মূলত জনসন অ্যান্ড জনসন ও স্পুটনিক লাইট টিকার উপাদান অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুরূপ, অথচ এই দুটি টিকা একটি ডোজের। সেই কারণেই ভারতে কোভিশিল্ড নামে পরিচিত এই টিকার একটি ডোজ কতটা করোনা সংক্রমণ রুখতে সক্ষম, তা জানতেই গবেষণা করা হবে। যদি কার্যকারিতা প্রমাণ হয়, তাহলে দুটি ডোজের বদলে টিকার একটি ডোজও দেওয়া হতে পারে। তাতে ঘাটতি কিছুটা কমবে।
সুত্র : আজকাল