মুকুল-পত্নীকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন অভিষেক, রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে
বিজেপির সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের মানসিকতার তফাত্টা আর একবার বোঝা গেল। রাজনৈতিক দুরত্বকে সরিয়ে রেখে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা আসনের বিধায়ক মুকুল রায়ের অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার সন্ধ্যায় বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে মুকুল পত্নীকে দেখতে পৌঁছে যান ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। আর অভিষেকের হাসপাতালে যাওয়া নিয়ে জোর রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠদের দাবি, ‘মুকুল রায়ের স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরিচিত হওয়ার সুবাদেই তাঁকে দেখতে গিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ।’
গত ১৪ মে করোনায় সস্ত্রীক আক্রান্ত হয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা মুকুল রায়। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও মারণ ভাইরাসের ছোবলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা রায়। ফলে তাঁকে বাইপাসের ধারে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছে।
এক সময়ের রাজনৈতিক সতীর্থ মুকুল রায়ের স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে জেনেই তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকাল থেকেই পাথরপ্রতিমা সহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ‘যশ’ -এর তাণ্ডবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। আর তখনই মুকুল রায়ের স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর জানতে পেরে হাসপাতালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
মুকুল রায় তৃণমূলে থাকার সময়ে অবশ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক খুব একটা মসৃণ ছিল না। নিন্দুকরা বলে থাকেন, অভিষেকের দাপট মানতে না পেরেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন একসময়ে দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। বিজেপিতে যোগ দিয়ে একাধিকবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানাও করেছেন মুকুল। তাই এদিন তাঁর স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদের ছুটে যাওয়া নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
সুত্র : এই মুহুর্তে