‘সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিন’, সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে বাংলাদেশ প্রশাসনকে আরজি কলকাতার ইসকনের
বাংলাদেশে পুজোর সময় মণ্ডপে ভাঙচুর, সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে উত্তাল দুই বাংলা। কুমিল্লায় মণ্ডপ, দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুর হয়েছে। নোয়াখালিতে ইসকন মন্দিরে চারজন হিন্দুকে খুন করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল প্রতিবাদ জানিয়ে চলেছেন।
ওপারেও শুভ চেতনার অসাম্প্রদায়িক মানুষ প্রিবাদ করছেন। কোনও সন্দেহ নেই কুমিল্লা এবং নোয়াখালির হিংসায় ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে শেখ হাসিনার প্রশাসন। তবে এবার প্রতিবাদের আওয়াজের জোর খানিকটা বাড়ল কারণ সুর চড়িয়েছে কলকাতার ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ প্রশাসনের কাছে সরাসরি চিঠি পাঠিয়ে কলকাতার ইসকনের বার্তা, ‘সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিন।’ চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জুড়ে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনাপ্রবাহে আশঙ্কিত এবং ব্যথিত ইসকন। বৈষ্ণব মতাবলম্বী দুই বাংলাদেশি নাগরিক প্রান্তচন্দ্র দাস এবং যতনচন্দ্র দাসের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশও করা হয়েছে। পরিশেষে শেখ হাসিনার সরকারের কাছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা প্রদানের আর্জি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তি দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে, দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ার
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল এক শ্রেণির দুষ্কৃতীরা। কুমিল্লায় দুর্গাপুজো মণ্ডপে ভাঙচুর এবং হিন্দু নাগরিক হত্যা নিয়ে এমন কথাই জানাল বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
কুমিল্লায় হামলার পর প্রায় শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নানাবিধ মামলা দায়ের। এরপরেই ও পার বাংলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়ে দেন, এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। তাঁর কথায়, ”পবিত্র কোরানের মানহানি করা হয়েছে এই অভিযোগ এনে কুমিল্লায় হিন্দুদের উপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা। আমাদের মনে হয়েছে যে এটি কোনও বিশেষ গোষ্ঠী দ্বারা প্ররোচিত।”
সূত্র: আজকাল