ভরতির পর রোগ নির্ণয়ে ৫ হাজারের বেশি খরচ নয়, ‘স্বাস্থ্যসাথী’ নিয়ে নয়া নির্দেশিকা
স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) চিকিৎসা বীমায় খরচের মাপকাঠি বেধে দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal Government)। রোগীকে (Patient) নির্দিষ্ট প্যাকেজের আওতায় আনতে হবে। রোগীকে ভর্তি করানোর পর ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা সহ ৫ হাজার টাকার বেশি খরচ করতে পারবে না কোনও বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম (Private Hospital)। স্পষ্ট জানিয়েছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)।
স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ, রোগী ভর্তির পর একের পর এক ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করা চলবে না। সর্বাধিক ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত টেস্ট করা যাবে। এবং তখন পর্যন্ত বেড চার্ড অনুমোদন করা যাবে। দ্রুত রোগ নির্ণয় করে রোগীকে প্যাকেজের আওতায় আনতে হবে। এই পদ্ধতি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় বর্তমানে ১৯০০ টি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা মজুত রয়েছে।
মঙ্গলবার অ্যাডভাইজরি প্রকাশ্য করে সাফ বলা হয়েছে, রাজ্য়ের একাধিক নার্সিংহোম এবং বেসরকারি হাসপাতাল ভর্তি করানোর পর বিনাকারণে একের পর এক ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করে যায়। যার দরুণ সঠিক সময়ে চিকিৎসাও শুরু হয় না, বদলে রাজকোষ থেকে প্রচুর টাকা বেরিয়ে যায়।
আরও পড়ুন : রাজ্যে ১ বছরের জন্য ব্যান তামাকজাত গুটখা-পানমশলা
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা, চিকিৎসক অজয় চক্রবর্তী বলেছেন, স্বাস্থ্যসাথী বীমা রাজ্যের একটি অনন্য কর্মসূচী। একে আরও সুচারু করতে কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। হিসেবকে সহজ করতেই এই ব্যবস্থা। ‘ অর্থ দফতরের হিসেব অনুযায়ী, স্বাস্থ্য খাতে গড়ে রোজ সরকারের প্রায় ৮ কোটি টাকা খরচ হয়। অর্থাৎ মাসে প্রায় আড়াইশো কোটি। ছোট-বড় সব মিলিয়ে ২ হাজার ৩৩৩ টি বেসরকারি হাসপাতাল নার্সিংহোম এর আওতায় পড়ছে। মোট উপভোক্তা প্রায় সাড়ে আট কোটি।
প্রসঙ্গত, জুলাই মাসের দিকে স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে কিছু বেসরকারি সংস্থার রমরমা ব্যবসা প্রকাশ্যে আসে। সুস্থদেরই ভুল বুঝিয়ে নার্সিংহোমে নিয়ে হয়। নানা অছিলায় তাঁদেরকে নার্সিংহোমে টানা দশ মতো ভর্তি রাখা ব্যবস্থা করা হয়। এবং তারপর তাঁদের নামে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার বিল তৈরি করা হয়। এভাবেই রাজ্য় সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড টাকা হাতানোর ছক কষে রাজ্যের একাধিক জেলার নার্সিংহোম।
এই ঘটনা ফাঁস হতেই স্বাস্থ্য দফতরের চার তদন্তকারী অভিযুক্ত একাধিক নার্সিংহোম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের কিছু গ্রাম সশরীরে পরিদর্শন করেন। বাঁকুড়ার তিনটি নার্সিংহোমকে শো-কজ করে অনির্দিষ্ট কালের জন্য রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাই যাবতীয় অপরাধের যবনিকা টানতে এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি করতেই এই পদক্ষেপ।
সুত্র : এশিয়া নেট