ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ (Mocha) নিয়ে আগেই অশনি সংকেত শুনিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। বাংলায় তার কতটা প্রভাব পড়বে? এ নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। ফের কি ‘আমফান’, ‘যশ’-এর মতো আরও এক প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের দাপট সামলাতে হবে রাজ্যকে ? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) মালদহের বৈঠক থেকে জানিয়েছিলেন, সম্ভবত বাংলায় তেমন প্রভাব ফেলতে পারবে না ‘মোকা’।
তা সত্ত্বেও বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুতি চলছে। বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে সেচ ও কৃষি দপ্তর। শুক্রবার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, শনিবার থেকে ঘনীভূত হওয়া নিম্নচাপটি মঙ্গলবার নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone) পরিণত হবে, যার অভিমুখ বাংলাদেশ (Bangladesh) ও মায়ানমারের দিকে।
কলকাতায় (Kolkata) শুক্রবারও আংশিক মেঘলা আকাশ। বিকেল বা রাতের দিকে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। শুক্রবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Temparateure) ছিল ২৪.২ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (Temparateure) ছিল ৩২.৩ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৬০ থেকে ৯১ শতাংশ। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে শুক্রবার সকালে জানানো হয়েছে, আজ থেকে রাজ্যে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে।
তবে দু’একটি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। । আন্দামান ও নিকোবর (Andaman &Nikobar) দ্বীপপুঞ্জের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা কম দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal)।
তবে ফের অস্বস্তিকর গরম ফিরতে চলেছে। তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ার (Temparature Rise) সম্ভাবনা। শনিবার থেকে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। মঙ্গলবার তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। অভিমুখ বাংলাদেশ ও মায়ানমার। বাংলায় তেমন দাপট দেখানোর আশঙ্কা নেই। তবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। ‘মোকা’ কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে আন্দামান-নিকোবর (Andaman-Nicober) দ্বীপপুঞ্জে। সেখানে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি হয়েছে বলে খবর।
আগামিকাল, শনিবার ৬ মে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে ঘূর্ণাবর্ত। রবিবার ৭ মে ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হবে সোমবার ৮ মে। গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে এই সিস্টেম মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে। মঙ্গলবার ৯ মে গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে মধ্য বঙ্গোপসাগরে। এরপর এর গতিমুখ থাকবে উত্তর অভিমুখে।