মালদহ- মুর্শিদাবাদ নদী ভাঙনে ১০০ কোটি বরাদ্দ করেও মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ‘মীরজাফর’ মন্তব্য
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
মালদহ- মুর্শিদাবাদ নদীপাড়গুলি ভাঙন কবলিত। তার সমাধানে এবার রাজ্য সরকার (State Government) মোট ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল। শুক্রবার সামশেরগঞ্জে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এর অর্ধেক টাকা দেবে সেচ দফতর। সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে (Partha Bhowmik) মঞ্চে ডেকে এই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে ৮৬ জনকে।
সামশেরগঞ্জ ভাঙন পরিস্থিতি পরিদর্শন করে মমতা এদিন বলেন, “গতকাল আমাদের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলা নিয়ে বৈঠক হয়েছে। আমি নিজের চোখে দেখলাম সব। ফারাক্কার সমস্যাটা ফারাক্কার ব্যারেজ নিয়ে সমস্যা। এটা দিল্লির বিষয়। আমাদের নয়। আমি অনেকবার কথা বলেছি। ওরা আমাদের সাহায্য করেনি। বাংলাদেশের সঙ্গে যখন চুক্তি হয় তখন ৭০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা। দেইনি। গঙ্গা ভাঙন, এই গুলো কেন্দ্রের প্রকল্প। ওরা যতটা রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামায়, দাঙ্গা নিয়ে মাথা ঘামায়, কুৎসা নিয়ে মাথা ঘামায়, সেই মাথা টা যদি সঠিক কাজে,সঠিক বুদ্ধিমত্তার কাজে ব্যাবহার করত তাহলে প্রকৃতি রূপসী বাংলার হত।”
মঞ্চ থেকে মুর্শিদাবাদের বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের তীব্র কটাক্ষ করেন মমতা (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মুর্শিদাবাদ বড় নেতার জন্ম দিলেও এখানে একটা কাজও হয়নি, কাজ করতে হয়েছে, সেই তৃণমূল (Trinamool Congress) সরকারকেই।” প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhuri) নাম না করে শুক্রবার মমতা আরও বলেন, “আমাদের আগামীতেও কোনও ত্রুটি থাকবে না। দীর্ঘদিন ধরে মুর্শিদাবাদে অনেক রাজনৈতিক নেতা বড় বড় কথা বলেছেন। কিন্তু একটাও কাজ করেননি।”
এদিন ফের একবার মুর্শিদাবাদে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুখে শোনা গেল সেই ‘মীরজাফর’ মন্তব্য। তিনি এদিন কিছুটা ধোঁয়াশা রেখে বলেন, “সব মীরজাফরের নাম যে খারাপ, তা ঠিক নয়। কিছু কিছু মীরজাফর আছে এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “এজেন্সির ভোট এ আপনারা ভোট পাবেন না। সব বিরোধী দল এক হয়ে যান। আমি বলব, আমার কোনও অসুবিধা নেই। সবাই একের সঙ্গে একে লড়াই করুন।”
প্রসঙ্গত, সাগরদিঘি নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরেই অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhuri) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তথা তৃণমূলকে (Trinamool Congress) একহাত নিয়ে বলেন, ”এই নির্বাচন প্রমাণ করল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনওভাবেই অপরাজেয় নয়। তাঁকে হারানো যায়। তৃণমূলকে বাধিবে যে, মুর্শিদাবাদে বাড়িছে সে। এই বাংলায় ফের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। মানুষ বুঝিয়ে দিল, আমি মীরজাফর নই।”