আসানসোল আদালতে আইনজীবীর মৃত্যু, আব্দুল লতিফের মামলা শুনলেনই না বিচারক
আসানসোল আদালতে আইনজীবীর মৃত্যুতে শোকপালন। তাই নতুন করে শুনানি হল না আব্দুল লতিফের। তবে শনিবার আদালতে হাজিরা দেন লতিফ। এদিন কোনও পক্ষের আইনজীবীই উপস্থিত ছিলেন না। ফলে যে রায় দেওয়া হয়েছিল ২৭ এপ্রিল তাই বহাল থাকল এদিনও। পরবর্তী শুনানি ৮ মে।
সুপ্রিম কোর্ট থেকে সাময়িক রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত শেখ আব্দুল লতিফ। সেই অর্ডার কপির রেশ ধরে আসানসোল সিবিআই আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্ত রয়েছেন লতিফ। ২৭ এপ্রিল তিনি আসানসোল এসেছিলেন। ওইদিন জামিন পান। পরবর্তী শুনানি ছিল ৬ মে অর্থাত্ শনিবার। সেই মতো সকাল ৬ টার আগেই লতিফ দলবল নিয়ে আদালতে ঢুকে পড়েন। মুখে দাঁড়ি। মাস্ক লাগিয়ে শনিবার আদালতে ঢোকেন তিনি।
গত ২৭ এপ্রিল গরু পাচার মামলার তদন্তকারী আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য ওইদিন বিচারককে জানান তাঁরা লতিফকে আগেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। নতুন তথ্যের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান এবং সহযোগিতা আশা করবেন। লতিফের আইনজীবী ওইদিন বলেন, ‘আমরা তো সহযোগিতা করতেই রাজি। প্রয়োজনে এখন থেকেই সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন বা সঙ্গেও নিয়ে যেতে পারেন।’ যদিও সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় আগামী ৪ মে পর্যন্ত সুরক্ষাকবচে আছেন লতিফ।
তাই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তবে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে লতিফকে। দু’পক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল জবাবের পর বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী ৬ মে পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। বিচারক নির্দেশ দেন ৩ দিন পরপর তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে হবে। পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। এই সময় গরু পাচার-সহ কোনও অসামাজিক কার্যকলাপের যেন তার নাম না জুড়ে। শুনানি শেষে শর্তসাপেক্ষে ১৫ হাজার টাকা জমা রাখার বিনিময়ে জামিন পান আব্দুল লতিফ।
গরু পাচার মামলার তদন্তকারী আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা হয়। এবং জানতে চান ওইদিনই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কিনা। আইও সুশান্ত ভট্টাচার্য লতিফকে জানান ইসিএল সাতগ্রাম এরিয়ার গেস্ট হাউসে বেলা একটার সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সেইমতো আদালত থেকে লতিফ বেরিয়ে যান জামুরিয়া ইসিএল সাতগ্রাম গেস্টহাউসে। সিবিআইয়ের মুখোমুখি হন।
এরপর ২৭ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত সিবিআই জেরার মুখে পড়েন তিনি। জামিনে মুক্ত থাকা লতিফকে এখনও রাজু ঝা হত্যামামলায় সিট বা বর্ধমান পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। আবার গরু পাচার মামলায় ইডি’র যে চার্জশিট রয়েছে, তাতে নাম রয়েছে আব্দুল লতিফের। ফলে সিবিআইয়ের হাত থেকে সাময়িক স্বস্তি পেলেও ইডির তলবের অপেক্ষায় গরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ।