Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
প্রযুক্তি

কম্পিউটারে ‘সি’ ড্রাইভ কেন থাকে

কম্পিউটারে ‘সি’ ড্রাইভ কেন থাকে

বহুদিন আগের কথা। তখন কম্পিউটারে কোনো হার্ডডিস্ক বা এসএসডি ছিল না। এর পরিবর্তে ছিল ‘ফ্লপি ডিস্ক’। এই ডিস্কের ভেতরে থাকত গোল গোল ম্যাগনেটিক চাকতি। যে চাকতিতে থাকত ডিস্ক অপারেটিং সিস্টেম বা DOS। বিভিন্ন আকারের ফ্লপি ডিস্ক কম্পিউটারে প্রবেশ করানোর জন্য ছিল দুটি ভিন্ন সাইজের ড্রাইভ। এ ড্রাইভ দুটিকে চিহ্নিত করা হয় ইংরেজি বর্ণমালার প্রথম দুটি বর্ণ A ও B দিয়ে।

সে সময় ফ্লপি ডিস্ক A কিংবা B ড্রাইভে ঢুকিয়ে কম্পিউটারের বাটন চাপলে ফ্লপি ডিস্ক থেকে বুট নিত এবং কম্পিউটার অন হতো। এরপর আসে হার্ডডিস্ক। এই হার্ডডিস্কেই DOS রাখার সুযোগ তৈরি হয়। তখন হার্ডডিস্কের জন্য যে ড্রাইভ ব্যবহার করা হয় তার জন্যও একটি নামের প্রয়োজন হয়। যেহেতু A ও B ড্রাইভ আগে থেকেই ছিল, তাই এ নতুন ড্রাইভের নাম করা হয় C এবং এ জন্যই বর্তমানে আমাদের কম্পিউটারগুলোয় C থেকে স্টোরেজের নাম শুরু হয়।

আরও পড়ুন :: স্মার্টফোন দিয়ে যেভাবে গোপন ক্যামেরা খুঁজে বের করবেন

ফ্লপি ডিস্কের স্টোরেজ ক্যাপাসিটি ছিল অনেক কম। ৮০ কিলোবাইট থেকে কয়েক মেগাবাইট পর্যন্ত। এরপর আরও কিছুদিন পরে সিডি, ডিভিডি আবিষ্কৃত হয়। দরকার পড়ে আরও বেশি ডেটা সংরক্ষণ ও স্থানান্তরের। ফলে ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়।

সিডি, ডিভিডিতে কয়েক গিগাবাইট পর্যন্ত ডেটা সংরক্ষণ করা যেত। এরপর এল ইউএসবি রিমুভেবল ডিস্ক ড্রাইভ, যেটাকে আমরা ফ্ল্যাশ ড্রাইভ বা পেনড্রাইভও বলে থাকি। কালের বিবর্তনে ফ্লপি ডিস্ক হারিয়ে গেলেও ড্রাইভের নামগুলো রয়েগেছে। তবে এখন আমরা কম্পিউটারে C ড্রাইভ দেখলেও A ও B ড্রাইভ দেখতে পাই না।

যদিও এখন কিছু কিছু কম্পিউটারে ইউএসবি পেনড্রাইভ ব্যবহারের সময় আমরা B ড্রাইভও দেখতে পাই।

আরও পড়ুন ::

Back to top button