বর্ধমান

কোচবিহার থেকে বিপুল পরিমান গাঁজা নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলায় বিক্রী করতে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়লো পাঁচ গাঁজা পাচারকারি

কোচবিহার থেকে বিপুল পরিমান গাঁজা নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলায় বিক্রী করতে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়লো পাঁচ গাঁজা পাচারকারি

কোচবিহার থেকে বিপুল পরিমান গাঁজা নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলায় বিক্রী করতে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়লো পাঁচ গাঁজা পাচারকারি।

পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার পুলিশ ওড়গ্রাম জঙ্গল মহল এলাকা থেকে তাদের পাকড়াও করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রবিউল মিঞা, প্রসেনজিত্‍ বর্মন, তপু চৌধুরী, সঞ্জীব সিং এবং সব্যসাচী চৌধুরী। ধৃতদের মধ্যে রবিউল ও প্রসেনজিত্‍ কোচবিহারের শীতলকুচির বাসিন্দা।

বাকিদের মধ্যে সব্যসাচী ভাতারের বলগোনা এবং অপর দু’জন বর্ধমান শহরের রাজাবাগান এলাকার বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি ধৃতদের ব্যবহৃত দুটি দামি চারচাকা গাড়ি থেকে মোট ২১ কেজি ৬০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া গাঁজা ও গাড়ি দুটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বলেরো ও একটি সুইফট ডিজায়ার গাড়িতে চড়ে গাঁজা পাচারকারী দলটি শনিবার সন্ধ্যায় ওড়গ্রাম জঙ্গল এলাকায় আসে। সেখানেই তাদের ওই বিপুল পরিমান গাঁজা খরিদ্দারদের হস্তান্তর করার কথা ছিল।

দলটির এই পরিকল্পনার কথা গোপন সূত্র মাধ্যমে জানতে পেরে যায় ভাতার থানার পুলিশ। এরপর পুলিশের একটি দল সেখানে হানা দিলে গাঁজার কারবারিরা গাড়ি দুটিতে চড়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ তাদের পিছু ধাওয়া করে ধরে ফেলে। তারপর পুলিশ গাড়ি দুটিতে তল্লাশি চালাতেই তিনটি প্লাসটিকের ব্যাগ থেকে ২১ কেজি ৬০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়।

মাদক আইনের ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ রবিবার পাঁচ ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে। পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে রবিউল মিঞা ও তপু চৌধুরীর পুলিশ হেফাজত ও বাকিদের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। গাঁজা পাচারের এই চক্রে আর কেউ যুক্ত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন ::

Back to top button