Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
বর্ধমান

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোলের জের, বর্ধমান স্টেশন চত্বরে গাড়ি-দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোলের জের, বর্ধমান স্টেশন চত্বরে গাড়ি-দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ

বর্ধমান স্টেশন চত্ত্বরে গাড়ি ও দোকান ভাঙচুরের ঘটনায় প্রকাশ্যে এল শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল। তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই মুখ খুললো জেলা আইএনটিটিইউসির প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্ধমান জেলা তৃণমুল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ইফতিকার আহমেদ। তৃণমূল নেতা গোলাব সোনকারের নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালানোর অভিযোগ করেন ইফতিকার।

এমনকী ওই তৃণমূল নেতার শাস্তি চেয়ে সোমবার স্টেশন চত্ত্বরে মিছিল করেন ইফতিকারের অনুগামীরা। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন খোদ ইফতিকার আহমেদ নিজেও। বর্ধমান স্টেশন চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে পার্কাস রোড হয়ে মিছিল আবার ফিরে আসে স্টেশন চত্ত্বরে।

ইফতিকারের অভিযোগ, “গোলাব সোনকার আগে সিপিএম করতেন। মধ্যে বিজেপির সঙ্গে চলে যায়। এখন ও তৃণমূল করে। তাই আমরা চাই হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।” গোলাবকে দল থেকেও বহিষ্কার করার দাবি করেন ইফতিকার আহমেদ। তিনি বলেন, “বিধায়ক খোকন দাস এসেছিলেন স্টেশন চত্বরে। তাঁকে আমরা সব বলেছি। তার কাছেও গোলাব সোনকারের বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছি।”

বিধায়ক খোকন দাস বলেন, “প্রশাসন অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এখানে কোনও রকম অশান্তি পাকানোর চেষ্টা বরদাস্ত করা যাবে না। যারা হামলা করেছে তারা যে দলেরই হোক না কেন প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিক।”

যদিও, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গোলাব সোনকার নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন যে, রবিবার সন্ধ্যায় তাঁর ছেলে ও কয়েকজন বন্ধু মিলে চারচাকা গাড়ি নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। স্টেশনের পাশে উড়ালসেতুর উপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সময় কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে এসে তাঁদের গালিগালাজ করে।

তিনি বলেন, “এই নিয়ে পার্টি অফিসে বসে থাকা ইফতিকার আহমেদকে আমার ছেলে বলতে গেলে উল্টে ইফতিকারও আমার ছেলেকে গালিগালাজ করে। কেউ স্টেশন চত্বরে ভাঙচুর করেনি। ওরা নিজেরাই ভাঙচুর করে এখন আমাদের বদনাম করতে চাইছে।” বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষ। ভাগ নিয়ে ঝামেলা। এতো সব জায়গাতেই চলছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন।”

আরও পড়ুন ::

Back to top button