ঝাড়গ্রাম

কুড়মিদের প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদে দল ছাড়লেন তৃণমূলের উপপ্রধান ও বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য সহ তিন জন

স্বপ্নীল মজুমদার

কুড়মিদের প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদে দল ছাড়লেন তৃণমূলের উপপ্রধান ও বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য সহ তিন জন

কুড়মিদের প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূলের উপপ্রধান ও বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য সহ তিন জন দল ছাড়লেন। সোমবার ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের টুলিবড় গ্রামে কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গ-এর এক কর্মসূচিতে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন জামবনি ব্লকের চিল্কিগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান যুথিকা মাহাতো, জামবনি পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য কৃপাসিন্ধু মাহাতো ও জামবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য ভবতারণ মাহাতো।

তাঁদের হাতে কুড়মি সামাজিক সংগঠনের পতাকা তুলে দেন কুড়মি সমাজ (পশ্চিমবঙ্গ)-এর দুই নেতা কৌশিক মাহাতো ও বীরেন্দ্রনাথ মাহাতো। দলত্যাগীরা জানান, কুড়মি সমাজের ‘মরদ ঢুঁড়া’ কর্মসূচিতে সাড়া দিয়ে তাঁরা রাজনৈতিক দল ছেড়ে সামাজিক আন্দোলনে যোগ দিলেন।

কুড়মিদের প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদে দল ছাড়লেন তৃণমূলের উপপ্রধান ও বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য সহ তিন জন

কুড়মিদের আদিবাসী তালিকাভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলন করছেন কুড়মিরা। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার কুড়মিদের আদিবাসী তালিকাভুক্তির স্বপক্ষে কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট কেন্দ্রে পাঠাতে গড়িমসি করছে। এরই প্রতিবাদে কুড়মি গ্রামে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মরদ ঢুঁড়া কর্মসূচি ঘোষণা করে কুড়মি রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের দল ছেড়ে সমাজের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। তারই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে শাসক ও বিরোধী শিবিরের মোট তিনজন দল ছাড়লেন।

তবে তৃণমূলের দাবি, দল ছাড়ার কথা জানা নেই। বিজেপির নেতারা বলছেন, তাঁদের দল কেউ ছাড়েননি। তবে দলের কেউ কেউ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কুড়মি সমাজের আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button