পশ্চিম মেদিনীপুর

গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের মাঝেই কণেকে তুল আনলো পুলিশ, বন্ধ হল নাবালিকার বিয়ে

গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের মাঝেই কণেকে তুল আনলো পুলিশ, বন্ধ হল নাবালিকার বিয়ে

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের তাতারপুর গ্রামের বাসিন্দা সন্টু মন্ডল এর মেয়ের বিয়ের দিন ছিল বৃহস্পতিবার।

বাড়িতে বিয়ের আয়োজন প্রায় শেষ পর্যায়ে। আত্মীয়-স্বজনরা এসে গিয়েছেন। বিয়ের মন্ডপ তৈরি। বৃহস্পতিবার দুপুরে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানও সবে মাত্র শেষ হয়েছে। বিয়ে বাড়িতে মাইকে বাজছে সানাইয়ের সুখ। ঠিক সেই সময় প্রায় বেলা দুটো নাগাদ সন্টু মন্ডল এর বাড়িতে পৌঁছে যায় চন্দ্রকোনা এক ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা ও চন্দ্রকোনা টাউন থানার পুলিশ।

ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক ও পুলিশ দেখে বিয়ে বাড়িতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা সন্টু মন্ডলের সাথে কথা বলে তার মেয়ের বিয়ের বয়সের প্রমাণপত্র তারা দেখতে চায়। তাতে দেখা যায় এখনো সাবালক হতে দুই মাস বাকি রয়েছে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই বিয়ে বন্ধ করার জন্য সন্টু মণ্ডল ও তার পরিবারের লোকেদের জানায়। কিন্তু বিয়ের আয়োজন প্রায় শেষ পর্যায়ে, এমনকি বিয়ে বাড়িতে আমন্ত্রিত ও বর যাত্রীদের জন্য রান্নার কাজও শুরু হয়েছে। তবে সন্টু মন্ডল পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের অধিকারীদের জানাই তার মেয়ের ১৮ বছর পূর্ণ না হলে তিনি বিয়ে দেবেন না। যার ফলে ওই নাবালিকার বিয়ে বুধবার বন্ধ হয়ে যায়।

ওই ঘটনার ফলে বিয়ে বাড়িতে বিষাদের ছায়া নেমে আসে। বিয়ে বাড়িতে আসা আত্মীয়-স্বজনেরা বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়ির পথে রওনা দেয়। তবে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বিয়ে বাড়িতে বন্ধ হয়ে যায় মাইকে সানাইয়ের সুর। খবর দেওয়া হয় পাত্র এর বাড়িতে। মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে অনেক ক্ষতি হয়ে গেল বলে সন্টু মন্ডল জানান।

উল্লেখ্য, যেদিন এই ঘটনা ঘটছে জেলার এক প্রান্তে তখন কিন্তু নিজেদের বিয়ে আটকে প্রশংসায় ভাসছে তিন কন্যা। যাদের সংবর্ধণাও দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক। উত্‍সাহ দিতে ডিকশেনারি, ব্যাগ, পড়াশোনার সামগ্রী উপহার দিলেন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button