ঝাড়গ্রাম

সুভাষচন্দ্র বোসের ঝাড়গ্রাম সফরের ইতিহাস সংরক্ষণের দাবিতে জেলা শাসককে স্মারকলিপি দিল জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চা

স্বপ্নীল মজুমদার

সুভাষচন্দ্র বোসের ঝাড়গ্রাম সফরের ইতিহাস সংরক্ষণের দাবিতে জেলা শাসককে স্মারকলিপি দিল জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চা
১৯৪০ সালের ১২ মে ঝাড়গ্রামে জনসভায় সুভাষচন্দ্র বোস

১৯৪০ সালের ১২ মে একটি বিশেষ দিন। এদিনই ঝাড়গ্রামে সভা করেছিলেন সুভাষচন্দ্র বোস। শুক্রবার ছিল ১২ মে। সুভাষচন্দ্রের ৮৪ তম ঝাড়গ্রাম পদার্পণ দিবস। এদিন ঝাড়গ্রাম জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে ঝাড়গ্রামে সুভাষচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত ইতিহাস সংরক্ষণের দাবি জানালো জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চা। মোর্চার কেন্দ্রীয় সভাপতি অশোক মাহাতো বলেন, সুভাষচন্দ্রের ঝাড়গ্রামে আগমন ও জনসভার স্মৃতি বিজড়িত ইতিহাস সংরক্ষণের বিভিন্ন দাবিগুলি নিয়ে জেলাশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।

জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চার দাবি, ১২ মে সুভাষচন্দ্রের ঝাড়গ্রাম পদার্পণের দিনটিকে সরকারি ভাবে স্মরণ করতে হবে। সুভাষচন্দ্রের আগমনের বিস্তারিত তথ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জ্ঞাতার্থে ফলক আকারে শহরের কোনও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে। সুভাষচন্দ্রের ঝাড়গ্রাম সফর ও জনসভায় সঙ্গে থাকা সকল স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা তৎকালীন ব্রিটিশের দ্বারা অত্যাচারিত হয়েছেন তাদের সরকারি ভাবে মর্যাদা প্রদান করতে হবে।

ঝাড়গ্রামে সুভাষচন্দ্রের সফর সঙ্গী স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রয়াত রামচন্দ্র মাহাতোর মূর্তি স্থাপন করতে হবে। স্বাধীনতা আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হয়ে সুভাষচন্দ্রের ঝাড়গ্রাম সফরে পদযাত্রায় শামিল হওয়ার কারণে স্কুল থেকে বহিষ্কৃত ছাত্র সুধাকর মাহাতোর মূর্তি স্থাপন করতে হবে।

১৯৪০ সালের ১২ই মে ঝাড়গ্রামে পা রেখেছিলেন সুভাষচন্দ্র বোস। তখনও তিনি নেতাজী হননি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছে। পরাধীন ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে সে এক অস্থির সময়। কংগ্রেসের সঙ্গে সুভাষচন্দ্রের দূরত্ব ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। সেই দিন ঝাড়গ্রামের দুর্গা ময়দানে স্বরাজের ডাক দিয়ে জনসভা করেছিলেন সুভাষচন্দ্র। অশোক মাহাতোর আক্ষেপ, সরকারি ভাবে ঝাড়গ্রামে সুভাষ-সফরের স্মৃতি সংরক্ষণের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

এদিন সুভাষচন্দ্রের স্মৃতিবিজড়িত দুর্গাময়দানে স্থানীয় দুর্গা ময়দান ক্লাবের উদ্যোগে দিনটি পালন করা হয়। হয় রক্তদান শিবিরও।

আরও পড়ুন ::

Back to top button