বীরভূম

গলায় সেফটিপিন আটকে বিপত্তি, চিকিৎসকদের তৎপরতায় বাঁচলো প্রাণ

গলায় সেফটিপিন আটকে বিপত্তি, চিকিৎসকদের তৎপরতায় বাঁচলো প্রাণ

“এক চুটকি সিন্দুর কি কিমত তুম কেয়া জানোগি রমেশবাবু”। হিন্দি সিনেমা জগতে জনপ্রিয় এবং বহুশ্রুত এই সংলাপ খানিক বদলে যায়। মহিলারা বেশ ডাঁটের সঙ্গে বলতেই পারেন, একটা সেফটিপিনের গুরুত্ব তুমি আর কি করে বুঝবে? আর সংলাপের উল্টোদিকে যদি কোনও পুরুষ থাকেন তাহলে তো এই কথা মোক্ষম। কারণ পুরুষদের কাছে সেফটিপিন অদরকারি হলেও, একজন মহিলার কাছে সেফটিপিন মহার্ঘ্য বস্তু।

কিন্তু এই সেফটিপিন থেকেই ঘটলো এক অঘটন খাওয়ার সময় গলায় সেফটিপিন আটকে দমবন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল রামপুরহাটের বাসিন্দা শমিতা হালদারের। বর্ধমান মেডিক‌্যাল কলেজের চিকিত্‍সকদের তত্‍পরতায় প্রাণে বাঁচলেন তিনি। গত ২৬ এপ্রিলের ঘটনা। দুপুরে বাড়িতে খেতে বসেছিলেন শমিতাদেবী। খেতে খেতে গলায় কিছু আটকে যায়।

প্রথমে তিনি হোমিওপ‌্যাথিক ওষুধ কিনে আনেন। তাতেও মেটিনি কোনো সমস্যা। এরপর বর্ধমান মেডিক‌্যাল কলেজে আসলে সেখানে তাঁর এক্স রে করা হলে ধরা পড়ে সেফটিপিন আটকে আছে খাদ‌্যনালির মাঝামাঝি জায়গায়। এরপর প্রায় এক ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে বার করা হয় সেফটিপিনটি।

চিকিত্‍সকদের কাছ থেকে জানা যায়,শমিতাদেবীর ভাতের থালায় কোনওভাবে সেফটিপিন পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু টিভি দেখতে ব‌্যস্ত থাকায় তা খেয়াল করেননি তিনি। চিকিত্‍সকরা জানিয়েছেন, রিজিড ইসোফেগাসস্কোপি করে বের করা হয় সেফটিপিনটি। এই প্রক্রিয়ায় গলায় একটি সরু টিউব ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।যার সামনে থাকে একটি লেন্স। বাইরে স্ক্রিনে দেখা যায় গলার ভিতরের অংশটি। বর্তমানে সুস্হ রয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন ::

Back to top button