অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপহার এসে পৌঁছালো বর্ধমানের সম্বিতের কাছে
আইসিএসই সর্বভারতীয় পরীক্ষায়ও বাংলার মুকুটে নয়া পালক। আইসিএসই অর্থাৎ দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় সারা দেশে প্রথম হয়েছে মোট ৯ জন। নয় জনের মধ্যে রয়েছে বাংলা তথা পূর্ব বর্ধমানের সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ছাত্র সম্বিত মুখোপাধ্যায়। ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪৯৯ পেয়েছে।
গত কাল সম্বিত এর জন্য এলো এক বিশেষ চমক। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপহার পৌঁছালো আইসিএসই পরীক্ষার প্রথম স্থানাধিকারী বর্ধমানের সম্বিত মুখোপাধ্যায়ের কাছে। অভিষেকের হয়ে সম্বিতের হাতে উপহার তুলে দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। সাংসদের উপহার পেয়ে খুশি সম্বিত ও তার পরিবারের লোকজন।
আজ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন ও শুভেচ্ছা জানান রাজ্যসভার সাংসদ ডঃ শান্তনু সেন।উপহার হিসাবে সম্বিতকে তুলে দেওয়া হয় একটি ফুলের তোড়া, একটি শংসাপত্র, মিষ্টির প্যাকেট ও উপহারের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয় সম্বিতের হাতে। এর সঙ্গে ছিল একটি মোবাইল ফোন, একটি দামী কলম এবং মুখ্যমন্ত্রীর স্বাক্ষর করা শুভেচ্ছা বার্তা।
রাজ্যসভার সাংসদ ডঃ শান্তনু সেন বলেন,বর্ধমান জেলার এক ছাত্র সম্বিত মুখোপাধ্যায় সর্ব ভারতীয় আইসিএসই পরীক্ষা প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এটা আমাদের খুব গর্বের বিষয়। তিনি বলেন, “সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জনসংযোগ কর্মসূচিতে এই মুহূর্তে পূর্ব বর্ধমান জেলায় রয়েছেন। তিনি অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানিয়ে প্রিয় ভাইকে সংবর্ধনা জানাতে আমায় পাঠিয়েছেন।”
সম্বিতের জন্য শান্তনু সেনের বার্তা, “সম্বিত আগামী অনেক ছাত্র-ছাত্রীর অনুপ্রেরণা হবে। আমরা চাইব, সম্বিত আগামী দিনে বাংলা ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করুক।” সম্বিতের কথায়, “খুবই আনন্দিত, এতো ভাল যে ফলাফল হবে সেটা আশা করতে পারিনি। আমি জানতাম, ফলাফল ভাল হবে। তবে গোটা দেশের মধ্যে এক নম্বরের মধ্যে থাকব, এটা ভাবতে পারিনি।”
ভবিষ্যতে সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার লক্ষ্য সম্বিতের। আগামী দিনে আইআইটিতে সুযোগ করে নিয়ে নিজের পড়াশুনা এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় সম্বিত। সম্বিত এদিন জানায়, কোনওদিনই বইয়ের মধ্যে মুখ গুঁজে পড়ে থাকার পক্ষপাতী সে ছিল না। তবে যেটুকু সময় পড়াশোনা করত, সেই সময়টা মনোযোগ সহকারে পড়তো ।
ছেলের সাফল্যে খুশির হাওয়া পরিবারেও। সম্বিতের বাবা ডঃ মনোজ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ও আমায় জানিয়েছে, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে পড়াশোনা করে ও দেশের জন্য কিছু করতে চায়। এটা আমার খুব ভালো লেগেছে।