রাজ্য

চরম দারিদ্র্যতা-কে সঙ্গী করে সর্বভারতীয় NEET-এ নজরকাড়ল শীতলকুচির হাফিজ

Manoj Kumar Barman

চরম দারিদ্র্যতা-কে সঙ্গী করে সর্বভারতীয় NEET-এ নজরকাড়ল শীতলকুচির হাফিজ
ছবি ফেসবুক

অদম্য জেদ আর ইচ্ছা শক্তিকে পাথেয় করে এবছর সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্য পেল শিতলকুচি ব্লকের মধ্য গোলেনাওহাটি গ্ৰামের হাফিজ মিয়া। অত্যন্ত হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান হাফিজের এই সাফল্যে স্বভাবতঃই খুশি গোটা গ্ৰামের মানুষ। সামান্য কিছু কৃষি জমির মালিক হাফিজের বাবা আমিনুর মিয়া পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তিন ছেলে মেয়ে কে মানুষ করতে হিম সিম খাওয়া আমিনুর রুটি রুজির টানে পাড়ি জমিয়েছেন সূদুর মহারাষ্ট্রে।

গোলেনাওহাটি জামে হাই মাদ্রাসায় হাফিজের প্রাথমিক পড়াশোনা শুরু হলেও পরবর্তীতে সে ভর্তি হয় মালদায় অবস্থিত আল আমিন মিশনে। নিজের এই সাফল্যে আপ্লুত হাফিজ সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন সে মানুষের সেবা করবে, একজন ডাক্তার হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবে। আর NEET পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তার এই স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে।

সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় ৭২০এর মধ্যে হাফিজের প্রাপ্ত নম্বর ৬১০, অবিচল লক্ষ্য আর কিছু করার তাগিদ থাকলে যে অসম্ভবকে-ও সম্ভব করে তোলা যায়, মধ্য গোলেনাও হাটির হাফিজ তার অন্যতম উদাহরণ। মধ্য গোলেনাওহাটির নিতান্ত সরল সাদা ছেলেটি আজ গোটা গ্ৰামের কাছে গর্ব। আত্মীয় পরিজন থেকে শুরু করে হাফিজের বন্ধু বান্ধব প্রায় প্রত্যেকেই হাফিজের এই সাফল্যে খুশি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবারের NEET পরীক্ষায় প্রায় ২০.৩৮ লাখ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে, তার মধ্যে মাত্র ১১.৪৬ লাখ পরীক্ষার্থী সফল হয়। শিতলকুচির মতো সীমান্তবর্তী একটা প্রত্যন্ত গ্ৰাম থেকে হাফিজের এই লড়াই, হয়তো আরো অনেক তরুণের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button