নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) তলব করেছিল ইডি। ১৩ জুন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় তৃণমূল নেতা তথা সাংসদের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছনোর জন্যই নোটিস পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিষেকের নব জোয়ার যাত্রা চলাকালীন এই নিয়ে ইডির তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছিল অভিষেককে।
তখনই তিনি জানিয়েছিলেন সমন পেলেও এক্ষুনি নব জোয়ার ছেড়ে যাচ্ছেন না তিনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাজিরা না দিলেও ইডিকে চিঠি দিয়েছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee) । চিঠিতে আদালতের রায়ের কপি জুড়ে অভিষেক লিখেছিলেন, ”দলীয় কর্মসূচীতে ব্যস্ত আছি। আগামী ৮ তারিখ পঞ্চায়েত ভোট। আমি তদন্তে সমস্ত সাহায্য করেছি ও আগামী দিনেও করব। এই মুহূর্তে দলীয় কর্মসূচী ছেড়ে যাওয়া সম্ভব নয়।” এবার সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা অভিষেককে (Abhishek Banerjee) চিঠি দিল ইডি।
ইডি-র তরফে চিঠিতে লেখা হয়েছে, ”শুধুমাত্র কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) চিঠি বিতর্ক নয় বা শুধুমাত্র হাইকোর্টের নির্দেশ নয়। সার্বিকভাবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আপনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাই।” তবে, কবে অভিষেককে ডাকা হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শহিদ মিনারের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বক্তৃতা ও তারপর কুন্তল ঘোষের লেখা একটি চিঠির প্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে কেন্দ্রীয় এজেন্সি জিজ্ঞাসা করতে পারে বলে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
ইডিকে লেখা চিঠিতে সেই সংক্রান্ত মামলার উল্লেখ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, তদন্তে তাঁর থেকে যে সব তথ্য বা নথি চাওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে গত ২৯ মার্চের সভায় তাঁর ভাষণের কোনও সম্পর্ক নেই।
১৩ জুন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ইডির দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। যদিও এ সংক্রান্ত চিঠি হাতে পাওয়ার পরই অভিষেক জানিয়েছিলেন, তিনি নবজোয়ার কর্মসূচিতে ব্যস্ত। তাই এখন তিনি যেতে পারবেন না। একইসঙ্গে তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য ছিল, নবজোয়ারের পর ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election) নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন তিনি। তাই আপাতত তিনি হাজিরা দিতে পারছেন না। ১৩ তারিখে ইডি দফতরে চিঠি দিয়ে একথা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার পাল্টা ইডি চিঠি দিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
