‘কেন্দ্রীয় বাহিনী পর্যাপ্ত ছিল না’, ফল ঘোষণার মাঝেই বিস্ফোরক নির্বাচন কমিশনার
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayet Election) কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকার কারণেই কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তি হয়েছে। ভোটে পর্যাপ্ত বাহিনী না থাকা নিয়ে পাল্টা কেন্দ্রকেই দায়ী করলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা (Rajeev Sinha)। ভোট গণনার দিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে বিএসএফের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার। রাজীব সিনহার (Rajeev Sinha) দাবি , ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী যা বলছে ঠিক নয়। আমরা স্পর্শকাতর বুথের তথ্য জানিয়েছিলাম। ওরা না জানলে স্পর্শকাতর বুথে গেলেন কীভাবে ?’
কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে রাজীব সিনহার (Rajeev Sinha) দাবি, রাজ্যের মানুষ এবং কিছু রাজনৈতিক দলের ধারণা ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে ভোটের সময় অশান্তি কম হবে। বাহিনীর জন্য বাড়তি ভয় কাজ করবে। হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করেছি। প্রথমে আদালত বলেছিল প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। পরে সেই নির্দেশে সংশোধন করে বলা হয়, যে ক’টি বুথে সম্ভব বাহিনী দিতে হবে। আমার মনে হয় না ১০ হাজারের বেশি বুথে ওরা বাহিনী দিতে পেরেছে।’
ভোট মেটার পরই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাদের দাবি ছিল, স্বর্শকাতর বুথের তালিকায় চেয়েও কমিশনের কাছে তা পাওয়া যায়নি। কিন্তু মঙ্গলবার বিএসএফের দাবি উড়িয়ে রাজীব সিনহা (Rajeev Sinha) বলেন, ‘বিএসএফের পরিকল্পনায় স্পর্শকাতর বুথের কোনও গল্প ছিল না।
জেলাভিত্তিক স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা আমরা জানিয়ে দিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম শুধু স্পর্শকাতর কেন, ডিএম এবং এসপির সঙ্গে কথা বলে প্রতি বুথেই বাহিনী দেওয়া হবে। বিএসএফ যদি স্পর্শকাতর বুথের তালিকা না-ই পায়, তা হলে ওরা বুথগুলিতে বাহিনী দিল কী করে?’
কমিশনার এদিন জানান, জেলা থেকে কমিশনের কাছে তথ্য আসছিল না। কিছুক্ষণের জন্য সমস্যায় কমিশন। প্রায় ১৫ মিনিট নির্বাচন কমিশনের দফতরে লোডশেডিং ছিল। ১৫ মিনিট বিদ্যুৎহীন থাকার পর আবার সচল হয় কমিশন।
কমিশনারের দাবি, কমিশন হিসাবে গোটা রাজ্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে তারা দায়বদ্ধ। সেই অনুযায়ী সমস্ত বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। ভোটের দিন যা যা অশান্তির খবর কমিশনের কাছে এসেছিল, তার ভিত্তিতে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ভোট গণনাও শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছে।