যেসব ব্যাপারে নিজেকে দোষারোপ করা ঠিক নয়
মানুষ মাত্রই ভুল হয়, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে প্রতি মুহূর্তে নিজেকে দোষারোপ করা মোটেই ঠিক নয়। এতে আত্মবিশ্বাস কমে যায়। আবার অনেক বিষয় আমাদের হাতেও থাকে না। বারবার নিজেকে দোষারোপ করলে আনন্দে বাঁচাও যায় না ।
আনন্দ নিয়ে বাঁচতে আত্ম-দোষারোপের অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসুন এখনই। যেসব বিষয়ে জন্য নিজেকে দোষারোপ করা ঠিক নয়-
কাজে শতভাগ মনোযোগ না দেওয়া:
অনেকেই মনে করেনে, জীবনে কাজটাই সব। এ কারণে সেখানেই শতভাগ দিতে হবে। না দিতে পারলে নিজেকে দায়ী করেন। এটা ঠিক, জীবনে কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ , তবে সব কিছু নয়। এটা জীবনের একটা অংশ, সবকিছু নয়।
নিজের চেহারা:
প্রত্যেকেই যার যার মতো করে আলাদা। কখনও নিজের চেহারা, শারীরিক কাঠামো নিয়ে দু:খবোধ, নিজেকে দোষী মনে করবেন না। কারণ এর উপরে আপনার কোনো হাত নেই।
আরও পড়ুন :: আপনার জীবনে ভুলের পরিমাণ কত, যাচাই করুন
নিজের সঙ্গে সময় কাটানো:
অনেক সময আমরা খুব ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত থাকি। এজন্য কোনো পরিকল্পনা বাতিল হলে দু:খিত হওয়ার কিছু নেই। এটা খুব সাধারণ ও যুক্তিসঙ্গত একটি ব্যাপার।
অসুখী সম্পর্কে ইতি টানা:
অসুখী কোনো সম্পর্কে না থেকে তাতে ইতি টানাই ভালো। কখনও এরকম কোনো সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এলে নিজেকে দোষারোপ করবেন না।
না বলা:
সবার ইচ্ছাপূরণ করতে আপনি বাধ্য নন। আপনার যদি কোনোটা করতে ভালো না লাগে তাহলে না বলা শিখুন। এর জন্য সবসময় নিজেকে দোষ দেওয়ার কিছু নেই।
আরও পড়ুন :: কোন বয়সে বিয়ে করলে পুরুষদের আয়ু বাড়ে এবং মানানসই সঙ্গী পায়?
সাময়িক বিরতি:
মন ও শরীরের বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। কখনও কাজ থেকে বিরতি নিলে নিজেকে দোষ দেবেন না।
একা থাকা:
যদি জীবনে একা থাকতে চান সেটা একান্তই আপনার নিজস্ব বিষয়। বিয়ে করতে বা কোনো সম্পর্কে জড়াতে নাই চাইতে পারেন। এজন্য অন্যরা আপনাকে দায়ী করতে পারে না।
বন্ধুত্বের প্রস্তাব গ্রহণ না করা:
কারও বন্ধুত্বের প্রস্তাব গ্রহণ না করা একান্তই আপনার নিজস্ব ব্যাপার। এটা নিয়ে অন্যরা কি বললো সেটা ভেবে নিজেকে দোষারোপ করবেন না।