Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
জাতীয়

অরুণাচল প্রদেশকে নিজের দেশের অংশ বলে দাবি চিনের, কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

Arunachal Pradesh : অরুণাচল প্রদেশকে নিজের দেশের অংশ বলে দাবি চিনের, কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত - West Bengal News 24

অরুণাচল প্রদেশকে নিজের দেশের অংশ বলে দাবি করল চিন। সোমবার চিনের প্রকাশিত নতুন মানচিত্রে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চিনকে সেই দেশের অংশ বলে দাবি করা হয়। এই নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। এর মধ্যেই সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।

২৮ আগস্ট দেশের নতুন সরকারি ম্যাপ প্রকাশ করেছে চিন। সেখানে অরুণাচল প্রদেশকে নিজের বলে দাবি করেছে তারা। এমনকী আকসাই চিনও নাকি তাদের, দাবি বেজিংয়ের। শুধু তাই নয়, গোটা দক্ষিণ চিন সাগর ও তাইওয়ানকেও মূল চিনা ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ওই ম্যাপগুলিতে অরুণাচলকে ‘দক্ষিণ তিব্বত’ বলে দাবি করেছে চিন। এবং তা চিনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলেও দাবি করছে চিনা বিদেশমন্ত্রক৷

জানা গিয়েছে, উত্তর লাদাখের দেপসাং উপত্যকা থেকে ৬০ কিলোমিটার পূর্বে আকসাই চিনে নদীর পাড় ধরে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে। ম্যাক্সার স্যাটেলাইট চিত্রে ধরা পড়েছে চিনের খননকাজ। দেখা গিয়েছে , নদীর দুই পাড়েই চিন কমপক্ষে ১১টি সুড়ঙ্গ তৈরি করেছে পাথর কেটে।

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছেই এই কাজ করছে চিন। বিগত কয়েক মাসেই এই নির্মাণকাজ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, লাদাখের একাধিক জায়গায় ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারবেস রয়েছে। শ্রীনগর ও অবন্তিপুরা বায়ুসেনার ফাইটার বেস হলেও, নওমাতেও এয়ার ল্যান্ডি গ্রাউন্ডেও রানওয়ে বাড়ানোর চেষ্টা করছে সেনাবাহিনী।

প্যাংগং হ্রদের কাছেই ১৩ হাজার ৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই রানওয়ে আয়তনে বৃদ্ধি পেলে এখানেই ভারতীয় বায়ুসেনা যুদ্ধবিমান রাখতে পারবে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে এই অঞ্চলের দূরত্ব মাত্র ৫০ কিলোমিটার। ফলে পরবর্তীকালে চিনের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধলে, দ্রুত সীমান্তে পৌঁছে যাবে ভারতীয় সেনার বিপুল বাহিনী।

উপগ্রহ চিত্রের বিশেষজ্ঞ ডেমিয়েন সাইমন বলেন, “আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে মাটির নীচে সুড়ঙ্গ তৈরি করে ভারতীয় সেনাকে প্রতিহত করতে চাইছে চিন। আকসাই চিনে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারবেস থাকায় এ দেশের সেনাবাহিনী যে সুবিধাগুলি পায়, তা রুখতেই চিনের এই পদক্ষেপ।”

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আফ্রিকায় সদ্য সমাপ্ত ব্রিকস সামিটে জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মোদি। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক নিয়ে ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রা জানান, জিনপিংকে সাফ বার্তা দিয়েছেন মোদি। নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি বজায় রাখা কতটা দরকার, সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জিনপিংকে বলেছেন, ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য নিয়ন্ত্রণরেখার সম্মান ধরে রাখা জরুরি।

লাদাখে সীমান্ত সংঘাতের আবহে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লিতে হতে চলা জি-২০ সামিটেও আলোচনার টেবিলে দেখা যাবে দুই রাষ্ট্রপ্রধানকে। তার আগেই ফের সংঘাতের পারদ চড়ছে দু’দেশের মধ্যে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button