ঝাড়গ্রাম

নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে গোয়ালতোড়ের আংটি বিক্রেতার দশ বছর জেল

স্বপ্নীল মজুমদার

নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে গোয়ালতোড়ের আংটি বিক্রেতার দশ বছর জেল
প্রতিকী ছবি

স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরছিল সাত বছরের এক নাবালিকা। তাকে দশ টাকার নোট দেখিয়ে চকোলেট কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তিকে দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিল ঝাড়গ্রামের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত।

সোমবার আদালতের দায়রা বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাস সাজা ঘোষণার পাশাপাশি, সাজাপ্রাপ্তকে দু’লক্ষ টাকা আর্থিক জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর অতিরিক্ত এক বছর কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন। বরিষ্ঠ সরকারি আইনজীবী সত্যজিৎ সিনহা জানান, ‘‘জরিমানার টাকা আদায় হলে তার ৯০ শতাংশ নির্যাতিতা মেয়েটি পাবে।

এছাড়াও নির্যাতিতাকে পৃথকভাবে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।’’ সাজাপ্রাপ্ত রবি রানার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থানার জোগাড়ডাঙ্গা গ্রামে। ২০১২ সালের ১ মার্চ ঝাড়গ্রামের লালগড় থানা এলাকার এক গ্রামে ঘোড়ার গাড়িতে করে ঘোড়ার নালের আংটি বিক্রি করতে গিয়েছিল রবি। ওই দিন বিকেলে নির্জন রাস্তায় নাবালিকাকে পেয়ে দশ টাকার নোট দেখিয়ে চকোলেট কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখায় রবি।

এরপর নাবালিকাটিও চকোলেটের প্রলোভনে রবির সঙ্গে পাশের ঝোপে চলে যায়। সেখানে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে রবি। নাবালিকা যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠলে রবি তাকে ছেড়ে দেয়। কান্নায় ভেঙে পড়ে বাড়িতে ফিরে ঘটনার কথা মাকে জানায় নাবালিকা। এরপরই ঘটনার কথা জানতে পেরে গ্রামের বাসিন্দারা রবিকে ধরে ফেলে।

লালগড় থানায় নাবালিকার মা অভিযোগ দায়ের করেন। রবিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০১২ সালের ১১ মে ধর্ষণ ও জনজাতি নিপীড়ন প্রতিরোধ আইনের ধারায় আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। মেদিনীপুর আদালত থেকে শর্তাধীন জামিনে ছাড়া পেয়ে যায় রবি। পরে মেদিনীপুর থেকে মামলাটি বিচারের জন্য ঝাড়গ্রাম প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে পাঠানো হয়।

গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর বিচারের জন্য ধর্ষণের ধারায় চার্জগঠন করেন বিচারক। ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। গত শুক্রবার রবিকে দোষী সাব্যস্ত করে সেদিনই তাকে জেল হেফাজতে নেওয়া হয়। সোমবার বিচারক সাজা ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button