গেরুয়া শিবিরের বিদায়ী সাংসদকে নিজেদের দিকে টেনে বড় চমক দিল তৃণমূল। রবিবার ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের নয়াগ্রাম বিধানসভার গোপীবল্লভপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী সভামঞ্চে তৃণমূলে যোগ দিলেন ঝাড়গ্রামের বিদায়ী সাংসদ কুনার হেমব্রম।
এবার দলের টিকিট না পেয়ে লিখিতভাবে বিজেপি ছেড়েছিলেন কুনার। শারীরিকভাবে অসুস্থ কুনারের তৃণমূলে যোগ দেওয়াকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় বিজেপি। এদিন ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সরেনের সমর্থনে নয়াগ্রাম বিধানসভার গোপীবল্লভপুর-১ ব্লক সদর ছাতিনাশোলের মাঠে সভা করেন অভিষেক।
স্থানীয় অস্থায়ী হেলিপ্যাডে নামে অভিষেকের কপ্টার। তার আগেই তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম লোকসভা এলাকার নেতৃত্ব মঞ্চে বক্তৃতা শুরু করেন। বাস ও নানা গাড়িতে প্রচুর লোকজন নিয়ে আসা হয়েছিল। কুনারও আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন। এদিন কুনারের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন অভিষেক।
কুনার তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বলেন, ‘‘পাঁচ বছর বিজেপির সাংসদ থেকে বুঝেছি এই দল জনজাতি বিরোধী। তাই মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে সামিল হতে তৃণমূলে যোগ দিলাম।’’ অভিষেকও সভায় বলেন, ‘‘বিজেপি যে আদিবাসী বিরোধী দল সেটা তাঁদের দল থেকে নির্বাচিত সাংসদই বলছেন।’’
২০১৯ সালে ঝাড়গ্রাম লোকসভা আসনটি বিজেপি জেতার প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক বলেন, ২০১১ সালের আগে বাম জমানায় এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পর এলাকায় বিপুল উন্নয়ন যজ্ঞ শুরু হয়। ২০১৪ সালে তৃণমূলের প্রার্থী উমা সরেন বিপুল ভোটে জেতেন। কিন্তু ২০১৯ সালে আসনটি তৃণমূলের হাত ছাড়া হয়।
অভিষেক বলেন, আর এই ভুল করবেন না। বিজেপি একশো দিনের টাকা, আবাসের টাকা আটকে রেখে রাজনীতি করতে চায়। কিন্তু রাজ্যের কোষাগার থেকে একশো দিনের বকেয়া মজুরি রাজ্য সরকার মিটিয়ে দিয়েছে। এদিন কড়া ভাষায় মোদী সরকারের সমালোচনা করেন অভিষেক। পরে কুনার বলেন, ‘‘তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সরেন সম্পর্কে আমার শ্যালক। শ্যালকের অনুরোধে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।’’
বিজেপির রাজ্য নেতা সুখময় শতপথী বলছেন, ‘‘টিকিট না পেয়ে উনি তৃণমূলে গিয়েছেন। এতে ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না।’’