বিনোদন

এবার ভারতের ক্রিকেটে সালমান খান ও শাহরুখ খান

এবার ভারতের ক্রিকেটে সালমান খান ও শাহরুখ খান

ভারতের সিনেমার ইন্ড্রাস্ট্রিতে অন্যতম জনপ্রিয় দুই নাম হলো শাহরুখ খান এবং সালমান খান। তবে দেশের আনাচে কানাচে এ দুইজনের নামের সাথে হুবহু মিল থাকা ক্রিকেটারেরও কমতি। সেসব ক্রিকেটাররা হয়তো দুই বলিউড তারকার মতো অত জনপ্রিয় নয়। তবে তাদের মেধা ও প্রতিভার কোনো কমতি নেই।

তেমনই দুই ক্রিকেটার হলেন তামিল নাড়ুর ২৪ বছর বয়সী শাহরুখ খান ও রাজস্থানের ২০ বছর বয়সী সালমান খান। দুজনের মধ্যে মিল হলো তারা দুজনই লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং ডানহাতি অফস্পিনার। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে দুজনই নিজেদের মেলে ধরার পথে রয়েছেন।

শাহরুখ ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম নাম লেখান ২০১৪ সালে। তবে মূল দলে সুযোগ পেতে তাকে অপেক্ষা করতে হয় ২০১৮ সাল পর্যন্ত। চেন্নাইয়ের চিপাক স্টেডিয়ামে অভিষেক হয় তার। সেদিন স্মরণীয় পারফরম্যান্স উপহার দেন কেরালার সঙ্গে। প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ৯২ এবং পরের ইনিংসে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে ১৫১ রানের জয় পেতে সাহায্য করেন তিনি।

মূলত বলিউড তারকা শাহরুখ খানের সঙ্গে মিলিয়েই রাখা হয়েছে এ ক্রিকেটার শাহরুখের নাম। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে শাহরুখ বলেন, ‘আমার মাসি (খালা) শাহরুখ খানের অনেক বড় ভক্ত। উনি সবসময়ই আমার মাকে বলতেন যে, যদি ছেলে হয় তাহলে যেন শাহরুখ খান নাম রাখেন।’

নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার সম্পর্কে শাহরুখ বলেন, ‘আমি যখন দলে আসি তখন বয়স ছিলো ১৯। তবে মূল দলে খেলতে চার বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। চিপাক স্টেডিয়ামে খেলা সবসময়ই স্বপ্নের মতো ছিলো আমার জন্য। প্রথম ম্যাচটা আমার জন্য স্মরণীয় একটা সময় ছিলো। আমার অভিষেকটাও ছিলো দারুণ। ব্যাট হাতে রান করেছিলাম এবং দলকে জয় পেতে সাহায্য করতে পেরেছিলাম।’

এদিকে শাহরুখের মতো সালমানও ডানহাতি অফস্পিনার এবং লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান হলেও, তার নাম বলিউড তারকার সঙ্গে মিলিয়ে রাখা হয়নি। মূলত তার বাবার এ নামটি পছন্দ করতেন বলেই রাখা হয়েছে। ২০ বছর বয়সী সালমান ২০১৬ ও ২০১৭ সালের অনুর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

২০১৬ সালের নভেম্বরে মাত্র ১৭ বছর বয়সে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক হয় সালমানের। ওড়িষ্যার বিপক্ষে অভিষেকেই ২০৩ বলে ১১০ রানের ইনিংস খেলে নিজের সামর্থ্যের কথা জানান দেন এ তরুণ।

ক্রিকেটে আসার গল্প জানিয়ে সালমান বলেন, ‘আট বছর বয়সে আমি ক্রিকেট খেলা শুরু করি। মাঠে গিয়ে দেখতাম আমার চেয়ে বড়রা খেলছেন। আমি সেই সময়টা খুবই উপভোগ করতাম। তখনের উত্তেজনা, স্পৃহা আমাকে ক্রিকেটের প্রতি আকৃষ্ট করেছে। এ খেলার প্রতি আমার ভালোবাসা দেখে বাবাও অনেক খুশি হয়েছিলেন। একদিন আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ক্রিকেট খেলবো নাকি। আমি এক বাক্যে হ্যাঁ বলে দেই। এরপর থেকে তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন।’

আরও পড়ুন ::

Back to top button