জানা-অজানা

এক দেশের বুলি, অন্য দেশের গালি

এক দেশের বুলি, অন্য দেশের গালি

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের নিজেদের কিছু ঐতিহ্য কিংবা লোকাল নিয়ম-কানুন আছে। সেসব দেশে যাওয়ার আগে এগুলো জেনে নেওয়া ভালো, নয়তো আপনাকে পড়তে হবে লজ্জাজনক অথবা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু দেশের তেমনই কিছু নিয়ম-কানুন:

রাশিয়া:

এক দেশের বুলি, অন্য দেশের গালি
কাউকে ফুল উপহার দেওয়ার সময় দেখে নিন সেখানে যেন জোড় সংখ্যক ফুল না থাকে। কারণ এদেশে জোড় সংখ্যক ফুল শুধুমাত্র ব্যবহৃত হয় কারো সমাধি, দাফন কিংবা শোকসূচক কোনো অনুষ্ঠানে।

চিলি:

এক দেশের বুলি, অন্য দেশের গালি
কখনও হাত দিয়ে খাবার খাওয়া যাবে না।

সিঙ্গাপুর:

এক দেশের বুলি, অন্য দেশের গালি
বিভিন্ন প্রকার জরিমানা সম্পর্কে অবগত থাকুন। আপনি কোনো পাখিকে খাবার দিতে পারবেন না, কোথাও থুথু ফেলতে পারবেন না, রাস্তায় আবর্জনা ফেলতে পারবেন না, গণপরিবহনে কিছু খেতে পারবেন না। নিয়ম ভাঙলেই হয়ে যাবে জরিমানা।

ভারত:

এক দেশের বুলি, অন্য দেশের গালি
পাবলিক প্লেসে চুম্বন করা যাবে না। এর কারণে আপনাকে হয়তো জেল পর্যন্তও যেতে হতে পারে। পাবলিক প্লেসে শুধু চুম্বনই না, বিপরীত লিঙ্গের সাথে যে কোনো রকমের শারীরিক সম্পর্ক এদেশে নিষিদ্ধ।

জাপান:

এক দেশের বুলি, অন্য দেশের গালি
কাউকে কোনো টিপস দেওয়া যাবে না, পাবলিক প্লেসে আলিঙ্গন করা যাবে না। লোকাল মানুষ যা করে, সেটাই করতে হবে।

মেক্সিকো:

এক দেশের বুলি, অন্য দেশের গালি
কোনো কিছুই বেশি ব্যক্তিগতভাবে নেওয়া যাবে না। তারা অনেক জোকস করতে পছন্দ করে এবং এর কোনো সুযোগ হাতছাড়া করবে না। তাদের ভাষাতেই কথা বলুন। এটা ওরা খুব পছন্দ করে। এমনকি মেক্সিকানরা চায় আপনি তাদের ঐতিহ্যের সাথেও সম্পৃক্ত হন।

নিউজিল্যান্ড:

এক দেশের বুলি, অন্য দেশের গালি
কখনও ‘অজি’ এবং ‘কিউই’ একসাথে করবেন না। আপনাকে খুব সম্ভব শুধরে দিবে। কখনও রাগবি, ‘দ্যা লর্ড অব দ্য রিংস’ কিংবা যুক্তরাজ্যের রাণীকে নিয়ে জোকস করবেন না। তারা বিষয়গুলো গম্ভীরভাবে দেখে। কখনও আশ্চর্য হবেন না যদি একসাথে অনেকজন মানুষকে খালিপায়ে দেখেন।

নরওয়ে:

এক দেশের বুলি, অন্য দেশের গালি
গির্জা নিয়ে কোনো প্রশ্ন করবেন না। এতে তারা অসম্মানবোধ করবে। যদিও এদেশে অনেক মানুষই গির্জায় যান না। বেশি ফরমালিটি আশা করবেন না। জনগণ সাধারণত অনাড়ম্বরভাবে কথা বলে এবং সবাইকে তাদের প্রথম নাম ধরে ডাকে।

তুরস্ক:

এক দেশের বুলি, অন্য দেশের গালি
কখনও কাউকে ‘ওকে’ সাইন দেখাবেন না। এটাকে এদেশে অশ্লীল সাইন হিসেবে দেখা হয়। বেশি মদ্যপান করবেন না। এটাকে এদেশে লজ্জাজনক কাজ হিসেবে দেখা হয়। রেস্টুরেন্টে অথবা বারে নাক ঝাড়বেন না এবং দাঁত খোঁচাবেন না।

যুক্তরাজ্য:

এক দেশের বুলি, অন্য দেশের গালি
কোনো লাইন থেকে লাফ দিয়ে সামনে চলে আসবেন না। লোকজনই আপনার বিচার করবে। কাউকে জিজ্ঞাস করবেন না কে কত আয় করে। যে কোনো ব্যক্তিকে কোথাও আমন্ত্রণ করবেন না। শুধুমাত্র যদি না সে আপনার খুব ভালো বন্ধু হয়।

আয়ারল্যান্ড:

এক দেশের বুলি, অন্য দেশের গালি
নিজেকে আইরিশ প্রমাণ করতে যাবেন না। নিজে কখনও সস্তা হবেন না। রাতে বারে যাওয়ার আগে অবশ্যই দেখে নিন যে, আপনার বিয়ার কেনার সামর্থ্য আছে কিনা।

জার্মানি:

এক দেশের বুলি, অন্য দেশের গালি
কখনও নাতসিদের মতো করে অভ্যর্থনা জানানোর মতো অঙ্গিভঙ্গি করা যাবে না। এটা এক প্রকার ক্রাইম হিসেবে গণ্য। জনগণের দিকে এক নজরে তাকিয়ে থাকা যাবে না। নিজেকে অতিরিক্ত বন্ধুসুলভভাবে উপস্থাপন করা যাবে না। কারো জন্মদিনের আগের দিন তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো যাবে না।

কেনিয়া:

এক দেশের বুলি, অন্য দেশের গালি
তাদের ধর্মকে কোনো প্রকার অসম্মান করা যাবে না। ধৈর্য ধরুণ। প্রায় কোনো কিছুই এদেশে সময় মতো হয় না। বাইরের কারোর সাথে সেক্স নিয়ে কোনো কথা বলা যাবে না। কোনো ব্যক্তির নাম ধরে ডাকা যাবে না যতক্ষণ না সে আপনাকে সেই নামে পরিচয় দেয়।

মালয়েশিয়া:

এক দেশের বুলি, অন্য দেশের গালি
কারো মাথা স্পর্শ করা যাবে না। এমনকি শিশুদেরও না। কারণ এটাকে শরীরের সবচেয়ে পবিত্র অঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

কোরিয়া:

এক দেশের বুলি, অন্য দেশের গালি
হাতে হাতে আর্থিক লেনদেনের সময় দুই হাত এগিয়ে দিন। এতে একই সাথে তার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ প্রকাশ করা হয়।

সূত্র: ব্রাইট সাইড

আরও পড়ুন ::

Back to top button