বিচিত্রতা

সিনেমা দেখে গর্ভবতী কিশোরী: অতঃপর

সিনেমা দেখে গর্ভবতী কিশোরী: অতঃপর

সিনেমা দেখে তা বাস্তবে রুপ দিতে গিয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে এক কিশোরী। ভারতের চেন্নাইয়ের এ ঘটনায় দেশটির সেন্সর বোর্ডকে তলব করেছেন আদালত। বিচারকের সামনে দাঁড়িয়ে এক ১৩ বছরের কিশোরী জানাল, ১০ মাস আগে তামিল ছবি ‘কলাবনী’ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রেমিকার সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে। মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করে তারা। তার পর সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে।

একটি সর্বভারতীয় হিন্দি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, ওই কিশোরীর সঙ্গে এক যুবকের প্রণয় সম্পর্ক গড়ে ওঠে বছর কয়েক আগে। যথেষ্ট পরিণতবয়স্ক না হওয়ার কারণে মেয়েটির বাড়িতে তার ভালবাসা মেনে নেবে না এই ভয় তার ছিল। খবর এবেলার।

দিন কয়েক আগে নিজের বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে সে পালিয়ে যায়। মেয়েটির পরিবারের লোকজন থানায় নিরুদ্দেশ ডায়েরি করেন। এর কিছু দিন পরেই মেয়েটিকে তার প্রেমিকের সঙ্গে উদ্ধার করে পুলিশ। ডাক্তারি পরীক্ষায় জানা যায়, কিশোরী গর্ভবতী।

এর পর ১ এপ্রিল মেয়েটিকে আদালতে পেশ করা হলে, সে এক আজব কথা জানায়। সে দাবি করে, একটি ফিল্ম দেখার প্রভাবেই সে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। এই শুনে আদালতে উপস্থিত সকলেই হতবাক হয়ে যান। বিচারক কিশোরীকে তার এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা করতে বললে গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হয়।

কিশোরী জানায়, ২০১০ সালে রিলিজ হওয়া একটি তামিল ফিল্ম দেখেই সে তার প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালানোর পরিকল্পনা করে। এ সরকুনাম পরিচালিত ‘কলাবণী’ নামের সেই ফিল্মে এক কিশোর-কিশোরীর প্রণয় দেখানো হয়েছিল। আরিক্কি নামের ক্লাস টুয়েলভের এক ছাত্র তার স্কুলছাত্রী প্রেমিকা মহেশ্বরীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল।

সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল ছবির কাহিনি। চেন্নাই আদালতে দাঁড়িয়ে কিশোরী জানায়, সে আর তার প্রেমিক এক সঙ্গে ‘কলাবণী’ সিনেমাটি দেখেছিল। ফিল্মটি দেখেই বাড়ি থেকে পালানোর পরিকল্পনা করে তারা। সেই পালানোরই পরিণতি হল মেয়েটির গর্ভবতী হয়ে পড়া। কিশোরী তাই তার গর্ভাবস্থার জন্য ওই সিনেমাটিকেই দায়ী করতে চায়।

চেন্নাই আদালত কিশোরীর দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়ার পরিবর্তে রাজ্যের সেন্সর বোর্ডকে নোটিশ পাঠিয়ে জানতে চেয়েছে, যে ফিল্ম দেখে কিশোর-কিশোরীরা বাড়ি থেকে পালানোর অনুপ্রেরণা পায়, সেই ফিল্ম ‘ইউ’ সার্টিফিকেট পায় কী করে! সেন্সর বোর্ড এর উত্তরে কী জানায়, তা-ই এখন দেখার।

আরও পড়ুন ::

Back to top button