রাজ্য

লকডাউনে জেরে বন্ধ উপার্জন, মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা বর্ধমানের এক বধূর !

লকডাউনে জেরে বন্ধ উপার্জন, মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা বর্ধমানের এক বধূর !

 

ধীমান রায়, কাটোয়া: ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের টাকা বাজারে খাটাতেন বধূ। এই ‘ব্যবসায়’ পরিবারে বেশকিছুটা স্বচ্ছলতাও এসেছিল। কিন্তু টানা লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে আদায় হয়নি কানাকড়িও। অথচ ব্যাংকের কিস্তির টাকাতো তাঁকে মেটাতেই হবে। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। স্রেফ এই দুশ্চিন্তার কারণেই গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মঘাতী হলেন বধূ। মর্মান্তিক ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শম্পা ঘোষের স্বামী বিশ্বনাথ এদিন সকালে প্রয়োজনীয় কাজে বেরিয়েছিলেন। শাশুড়ি কল্যাণীদেবী বাইরে গোয়ালে কাজ করছিলেন। দোতলা বাড়ির উপরের ঘরে ছিলেন বধূর এক মেয়ে লিপিকা। হঠাত্‍ই সে মাকে ডাকাতে গিয়ে দেখে ঘর ভিতর থেকে বন্ধ। দীর্ঘক্ষণ মায়ের সাড়া না পেয়ে চিত্‍কার শুরু করেন তিনি। তা শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দরজা ভাঙতেই উদ্ধার হয় শম্পাদেবীর রক্তাক্ত দেহ। ইতিমধ্যেই পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।

জানা গিয়েছে, এলাকার একাধিক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ব্যাংক থেকে লোন পেয়ে সেই টাকা কিছুটা লভ্যাংশের বিনিময়ে শম্পাদেবীকে দিতেন। শম্পাদেবী ওই টাকা বাইরে সুদে খাটাতেন। ব্যাংকের কিস্তি মেটানোর দায়িত্ব ছিল তাঁরই। এতদিন ঠিকঠাকই চলছিল সব। কিন্তু লকডাউনের পর শম্পাদেবী তার ধার দেওয়ার টাকার সুদ তো দুর-অস্ত আসল পর্যন্ত আদায় করতে পারছিলেন না। সেই কারণেই অবসাদে ভুগছিলেন। অনুমান সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। তবে তদন্তের পরই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে ।

সুত্র:সংবাদ প্রতিদিন

আরও পড়ুন ::

Back to top button