ঠাসাঠাসি করে শ্রমিকদের পাঠিয়েছে কেন্দ্র : মুখ্যমন্ত্রী
ওয়েবডেস্ক : লকডাউনের আগে যদি শ্রমিকদের ফোরানো হত তাহলে এই অবস্থা হত না।বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি একথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘লকডাউনের আগে শ্রমিকদের যদি ফিরিয়ে আনা হত তাহলে এই অবস্থা হত না।
আমি কিন্তু করোনা এক্সপ্রেস বলিনি। জনগন বলছে, তাঁদের কথাই আপনাদের সামনে বলা হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বিজেপির কোনও মাথা ব্যথা নেই। তাঁদের জন্য কী করা হয়েছে? বাংলায় এদের থাকার ঘর আছে। পরিবার আছে। তাই ওঁরা বাংলা ছেড়ে ফিরতে চাইছেন না।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মহারাষ্ট্র, চেন্নাই, গুজরাট ও দিল্লি থেকে গাদাগাদি করে শ্রমিকদের তুলে দেওয়া হল। তখন তো ট্রেন বন্ধই ছিল। কম সময় অন্তর শ্রমিক এক্সপ্রেস চালাতে পারতো।
৫ টির জায়গায় ১০ টি ট্রেন চালাতে পারতো। যে কামরায় ১ হাজার ২০০ শ্রমিক ধরে সেখানে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ শ্রমিককে তুলে দেওয়া হল। দু-তিন দিন পর তাঁরা বাংলায় ফিরলেন।
দিল্লির ধর্মীয় স্থানে ভিড় করা হল। নিজেরা অন্যায় করলেন। বিপদের মুখে তাঁদের ঠেলে দিলেন। স্টেশনে এসে যখন শ্রমিকরা নামছেন তখন তাঁদের সোয়াব টেস্ট করানো হচ্ছে।
এই পরীক্ষা করতে প্রায় মিনিট পাঁচেক সময় লাগে। আমরা বলেছি, সোয়াব টেস্টের পর যে যার বাড়ি ফিরে যাবেন। তাঁদের ফেরার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ৭ দিন পর টেস্ট করা হবে।
আগামী দিনে যাতে ভুগতে না হয় সেদিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। এই রোগে খুব নিঃশব্দে অনেকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তাও আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। ওরা কারফিউ করে রেখেছে।
আমরা লকডাউন করছি। রাত ৯ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। ২৫৫টি ট্রেনের মধ্যে আরও ২২টি ট্রেনে শ্রমিকদের পাঠানো হচ্ছে। দু-তিন দিনের মধ্যে ৩০ হাজার শ্রমিক বাংলায় ঢুকবেন। বাসে অনেকে এসেছেন, আরও আসবেন।’
সুত্র: আজকাল.in