রাজনীতি

২১-এই দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছে! আর তাই পাঁচ লক্ষ শ্রমিক ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়নের ছত্রছায়ায় বললেন বাবান ঘোষ!!

২১-এই দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছে! আর তাই পাঁচ লক্ষ শ্রমিক ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়নের ছত্রছায়ায় বললেন বাবান ঘোষ!!

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বলছেন আর নয় মমতা। আর তাই ২০২১ এই দিলীপ ঘোষ এর নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টি পশ্চিমবঙ্গে সরকার গঠন করতে চলেছে। আর ২১ এই রাজ্যভিষেক হবে দিলীপ ঘোষ এর। রাজ্যের আগামী মুখ্যমন্ত্রী দিলীপ ঘোষ হচ্ছেন। ঠিক এমনটাই বলেন ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপি তরুণ, তুর্কি, লড়াকু নেতা বাবান ঘোষ।

সালটা ছিল ২০১৯, লোকসভা ভোটের দামামা বাজতেই শুরু হয়ে যায় বিজেপির রণনীতি ও রণকৌশল। ঠিক লোকসভা ভোটের আগেই দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়ের হাত ধরে বিভিন্ন সংগঠন থেকে দল ভেঙে নেতাকর্মীরা বিজেপিতে যোগ দেন। লক্ষ একটাই ছিল ২০১৯ সালে আবারো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী কে দেখতে চান দেশের জনগণ।

লোকসভা ভোটের পরেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ভারতীয় জনতা পার্টি দ্বিতীয় বারের মতো সরকার গঠন করে। দিল্লিতে শপথ বাক্য পাঠ করেন আবারো নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী মহাশয়। মোদি সরকারের এক বছর পার হয়ে যাওয়ার মধ্যেই বিশ্ব তথা দেশে এক ভয়াবহ মহামারী দেখা দেয়। চীনের উহান শহর থেকে করোনা নামক একটি মারাত্মক ভাইরাস আবিষ্কৃত হয়।

আর সেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। মোদি সরকারের একের পর এক চমকপ্রদ যোজনা গোটা দেশ তথা পশ্চিমবাংলার মানুষ কেও আপ্লুত করে। ২০১৯ এর লোকসভায় মোদি ম্যাজিক পশ্চিমবঙ্গে ১৮ টি সাংসদ এর সিটে জয়লাভ করাে। ২০২০ সালে মহামারী করোনা ভাইরাসের জেরে গোটা বিশ্ব তথা ভারত জুড়ে চলছিল লকডাউন।

ভারতে লকডাউন শুরু হয় ২২ শে মার্চ। মোদি সরকার তার রণনীতি ঠিক করে নেয় করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের। কোনরকম বিচলিত না হয়ে দীর্ঘ মস্তিষ্কে সরকারের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি হয় সারা ভারতবর্ষে। ২২ শে মার্চ তারিখে গোটা ভারত বর্ষ জুড়ে মোদি সরকার লকডাউন ঘোষণা করেন। আর এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ শ্রমিক ভিন রাজ্যে কর্মরত ছিলেন।

মমতা ব্যানার্জির অপশাসনের ফলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার বৃদ্ধির চিত্র। তাই পশ্চিমবঙ্গ থেকে ধীরে ধীরে তৃণমূল সরকারের ৯ বছরের শাসনকালে পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকরা বাইরের রাজ্যে কর্মসংস্থানের জন্য নিজেদেরকে পরিযায়ী শ্রমিক তৈরি করে ফেলেন। লকডাউন এর প্রভাবে তারা আটকে পড়েন ভিন্ন রাজ্যে।

লকডাউন এর এক মাস পর মোদি সরকার শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালু করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও মমতা ব্যানার্জির রাজনীতির একটুও চারিত্র পরিবর্তন হয়নি। সমস্ত রাজ্য যখন মোদী সরকারের কাছে আবেদন জানান শ্রমিকদের নিজ রাজ্যে ফিরিয়ে আনার জন্য ট্রেন এর দরকার। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি সরকার সেটা করেননি। বিভিন্ন সাংবাদিক বৈঠকে মমতা ব্যানার্জি অপশাসনের কাহিনী।

সাংবাদিক বৈঠকে তিনি এরূপ মন্তব্য করে বসেন শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের নামে করোনা এক্সপ্রেস পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবে। ভিন রাজ্য থেকে ফিরতে না পারা পরিযায়ী শ্রমিকরা এতে ক্ষুব্ধ হয় মমতা ব্যানার্জি সরকারের প্রতি। রাজ্যে বিভিন্ন কল-কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। কর্মসংস্থান হারায় কয়েক লক্ষ শ্রমিক। কিন্তু রাজ্য সরকারের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না নেওয়ার ফলে রাজ্যের শ্রমিক সংগঠনগুলো বেজায় ক্ষুব্ধ হয় তৃণমূল সরকারের প্রতি। এইভাবে অপশাসন চলছে দিনের পর দিন পশ্চিমবঙ্গে।

২১-এই দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছে! আর তাই পাঁচ লক্ষ শ্রমিক ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়নের ছত্রছায়ায় বললেন বাবান ঘোষ!!

 

বাবান ঘোষ বলেন দীর্ঘমেয়াদী লকডাউনের ফলে অসহায় বিপন্ন মানুষ খুঁজে বাঁচার পথ। এমতাবস্থায় রাজ্য সরকারের দুর্নীতি অপশাসন রেশনের চাল চুরি, ত্রাণের ত্রিপল চুরি, আবাস যোজনার মতো সরকারী যোজনার টাকা হাতিয়ে নেওয়া সিন্ডিকেট বোমাবাজি তোলাবাজি দাদাগিরি ও পুলিশকে দলদাস বানিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি কে রোখা যায় না যাবে না। আর তাই মমতা ব্যানার্জির এই কালো সরকারকে উৎখাত করতে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন থেকে প্রায় ৫ লাখ শ্রমিক ভারতীয় জনতা মজদুর ইউনিয়নের ছত্রছায়ায় এসেছেন।

করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মাঠে নেমেছিল ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়ন। ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়নের বিভিন্ন জেলায় জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে জেলা কমিটি এবং বিভিন্ন পদাধিকারী গণ নেতা-কর্মীরা অসহায় মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এখনো পর্যন্ত ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়নের সহযোগীতায় চলছে ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প।

শুধু সাধারণ দুস্থ অসহায় গরীব মানুষ নয় বিভিন্ন কলকারখানায় খেটেখাওয়া মজদুরের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়ন। গত ২০ এ মে আছড়ে পরে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আমফান। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলা তছনছ করে দেয় এই ভয়ঙ্কর আমফানের করাল গ্রাস।

সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা গুলি ব্যাপক পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়। তবু থেমে থাকেনি ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়ন। একেতো করোনার গ্রাস লকডাউন এ কর্মহীন অসহায় মানুষ হাকার করছে, তার উপর প্রাণঘাতী আমফান! সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা গুলির মৎস্যজীবী শ্রমিকদের এবং তার সাথে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ গুলি এখনো পর্যন্ত সরকারি সাহায্য না পাওয়ায় রাজ্য সরকারের ওপর প্রতিনিয়ত ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন।

আমফানের ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যের ছুটে আসেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যে এসেই তিনি প্রাথমিক সাহায্য হিসেবে এক হাজার কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা করে দেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন ব্লকের গ্রামে-গঞ্জের মানুষরা তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির শিকার হয়েছেন।

ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়ন এর রাজ্য সভাপতি বাবান ঘোষ এই দিন জানান সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামের মৎস্যজীবীদের আগামী দিনে ত্রাণ সামগ্রী ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়ন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button