কলকাতা

শুক্র, সোম ২ জেলা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি

শুক্র, সোম ২ জেলা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি

 

ওয়েবডেস্ক : তিনিই বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি ক্ষমতায় আসা ইস্তক গোটা মন্ত্রীসভা তথা রাজ্য প্রশাসনকে জেলায় জেলায় পৌঁছে দিয়েছেন। নিজে নিয়ম করে প্রতিটি জেলায় গিয়েছে করেছেন প্রশাসনিক বৈঠক। সঙ্গে থেকেছে তাঁর প্রশাসন ও মন্ত্রীসভা। নিজের কানে শুনেছেন আমজনতার অভাব

অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে বাতলে দিয়েছেন পথ। জানিয়ে দিয়েছেন কী করতে হবে আর আর কী নয়। এমনকি সেই সভা থেকে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে যেমন তাঁকে পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে ঠিক তেমনি রাজ্য প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছে। বিরোধীরা তাঁর এহেন

প্রশাসনিক সভা ঘিরে যত নিন্দামন্দই করুক না কেন আখেরে যে তাতে উন্নয়ন গতি পেয়েছে সেটা সরকারি আধিকারিক থেকে আমজনতা সকলেই স্বীকার করেন। এবার সেই তিনি, মানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই করোনার আবহেই দুই ২৪ পরগনাকে নিয়ে বসতে চলেছেন প্রশাসনিক বৈঠকে।

আরও পড়ুন : ঠিকাদার অসুস্থ, ঝুঁকি এড়াতে জীবাণুমুক্ত করা হল পুরসভা ভবন

রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে আগামী শুক্রবার ও সোমবার দুটি পৃথক পৃথক প্রশাসনিক বৈঠক করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ১০ জুলাই সভা হবে নিউ টাউনে বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে। সেটি হবে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক সভা। আর ১৩ জুলাই সভা

হবে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে। সেটি হবে দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক সভা। ইতিমধ্যেই এই দুই সভার বিষয়ে দুই জেলারই প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই দুই জেলার সব ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, পঞ্চায়েত প্রধান ও জেলা পরিষদের

সদস্যদেরও ডাকা হচ্ছে। গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের এই বৈঠকে ডাকা হবে কিনা তা নিয়ে অবশ্য চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এটাও জানা যায়নি যে এই দুই বৈঠকে ওই সব জেলার সাংসদ ও বিধায়কেরা উপস্থিত থাকবেন কিনা।

তবে দুই জেলার কিছু মন্ত্রী দুই দিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। তবে দুই বৈঠকেই দুই জেলার কোনও পুরপ্রতিনিধিকে ডাকা হচ্ছে না।

আরও পড়ুন : দুই মাসের কন্যাকে নিয়ে পর্বতচূড়ায় বলিউড অভিনেত্রী

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই জেলার বৈঠকে প্রধান্য পেতে চলেছে আম্ফান নিয়ে ওঠা অভিযোগ, আম্ফান বিধ্বস্ত এলাকার পুনর্বাসন এবং গ্রামোন্নয়নের কিছু প্রকল্প রূপায়ন নিয়ে আলোচনা। এর সঙ্গে বৈঠকে গুরুত্ব পেতে চলেছে ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত দুই ২৪ পরগনায় পুনর্নির্মাণের কাজ কীভাবে হচ্ছে সেই

বিষয়টি। তাই দুই বৈঠকেই উপস্থিত থাকবেন নিজ নিজ জেলার জেলাশাসক ও জেলার পুলিশ সুপার-সহ অন্য আধিকারিকেরা। দুই জেলা থেকে নির্বাচিত মন্ত্রীদের বৈঠকে থাকতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button