তৃনমূলের রদবদল নিয়ে আক্রমণ বিরোধীদের
তৃণমূল নেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে কয়েকদিন আগে সাংগঠনিক রদবদল করেছেন। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটিতে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ছত্রধর মাহাতোকে নিয়ে আসা হয়েছে।
তৃণমূলের এই নতুন দুই সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিরোধী রাজনৈতিক দলের আক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস এবং সিপিএম এর পক্ষ থেকে এই দুই নেতার নাম নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এর বিরুদ্ধে আক্রমণ করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এর যৌন কেলেঙ্কারি সম্বন্ধীয় বহু ছবি শেয়ার করে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে তৃণমূলের এই পদক্ষেপ নিয়ে। সেই ভাবেই কিভাবে নাশকতার সঙ্গে যুক্ত থাকা একজন ব্যক্তিকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য নেতৃত্বে নিয়ে আসতে পারে সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।
[ আরও পড়ুন : তিন মাসের মধ্যে সারদা রোজভ্যালি মামলার নিষ্পত্তি করব: দিলীপ ঘোষ ]
সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জেল থেকে ছাড়া পাওয়া জনসাধারণের কমিটির একসময়ের নেতা ছত্রধর মাহাতোকে রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ দেওয়া হয়েছে।
বিরোধীরা ২০১০, সালের জ্ঞানেশ্বরী কান্ডের কথা টেনে আনছেন। মাওবাদীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে এই ঘটনার অভিযোগ উঠেছিল ছত্রধর মাহাতোর বিরুদ্ধে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিকে কিভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের অধীনে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছেন। ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে জনমানসে তার ভাবমূর্তি ধাক্কা খেয়েছে কমেছে গ্রহণযোগ্যতা।
তার নাম তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে আসায় বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। জঙ্গলমহলে তৃণমূলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো করার লক্ষ্যে ছত্রধর মাহাতোকে দায়িত্ব দিয়েছে দল। বিরোধী রাজনৈতিক দলের আক্রমণের পরে সূত্রের খবর তৃণমূল নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য কমিটির দুই সাধারণ সম্পাদককে প্রকাশ্যে আনা হবে না। দলের অভ্যন্তরে কাজ করতে বলা হবে।
বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে দুইজনকে রাজ্য কমিটির দায়িত্ব দেওয়ার পরে সংগঠন শক্তিশালী হয় কিনা সেটাই দেখার বিষয়। প্রতিবেদক-রাজীব ঘোষ
সুত্র: প্রথম কলকাতা