বিচিত্রতা

করোনার ত্রাণের টাকা দিয়ে ল্যাম্বরগিনি গাড়ি কিনেছেন এক ব্যক্তি

করোনার ত্রাণের টাকা দিয়ে ল্যাম্বরগিনি গাড়ি কিনেছেন এক ব্যক্তি

করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের আর্থিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ। বিশেষ করে ছোট ছোট সংস্থাগুলি এই অবস্থায় কুল কিনারা খুঁজে পাচ্ছে না। অথচ এই সংস্থাগুলিই যে কোনও দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক ভিত। তাই তাদের ঋণ দিয়ে কর্মীদের বেতন মেটাতে সাহায্য করার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

একই অবস্থা আমেরিকারও। সংস্থাগুলি যাতে কর্মীদের বেতন দিতে পারে তার জন্য পে চেক প্রোটেকশান প্রোগ্রামের মাধ্যমে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলির দিকে। আর এই সহায়তার অর্থে ফ্লোরিডায় এক ব্যক্তি বিলাসবহুল ল্যাম্বারগিনি গাড়ি কিনেছেন।

জানা গিয়েছে, ফ্লোরিডার ২৯ বছররে ডেভিড টি হাইনেস পে চেক প্রোটেকশান প্রোগ্রামের (‌পিপিপি)‌ মাধ্যমে ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋ‌ণ নেন ১৩ মে। কারণ তাঁর কর্পোরেট ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট ৩০ হাজার মার্কিন ডলারের ঋণে ডুবে যায়। কিন্তু পিপিপি থেকে অর্থ পাওয়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই তা নিজের ব্যবসার কাজে না লাগিয়ে ওই ব্যক্তি ফ্লোরিডার মিয়ামি সমুদ্র সৈকতে ক্রুজে করে ঘুরে বেড়ান, কিনি ফেলেন নীল

[ আরও পড়ুন : মৃত্যুর হাত থেকে যুবককে বাঁচিয়ে দিল গাড়ি, ভাইরাল ভিডিও! ]

রঙের ল্যাম্বারগিনি হুরাকান ইভি গাড়ি, যার মূল্য ৩১৮,০০০ মার্কিন ডলার। সোমবার মার্কিন বিচার বিভাগ থেকে ঘোষণা করা হয় যে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁর ওপর ঋণ প্রতিষ্ঠানকে তাঁর ব্যবসা সম্পর্কে ভুয়ো বিবৃতি দেওয়া, ব্যাঙ্ক জালিয়াতি এবং বেআইনিভাবে লেনেদেন করার চার্জ দেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ডেভিড জানিয়েছিলেন প্রতি মাসে তাঁর বড় সংস্থায় কয়েকশো কর্মীকে বেতন দিতে ও ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এই অঙ্কের টাকা প্রয়োজন। তৈরি করেন ভুয়ো ব্যালেন্স শিটও। এর পরই পে চেক প্রোটেকশান প্রোগ্রামে ঋণ পেয়ে যান তিনি। কিন্তু ঋণের একাংশ দেওয়ার পরেই তাঁর আসল সত্য বাইরে আসে।

দেখা যায় যে সমস্থ নথিই ভুয়ো। শুধু তাই নয়, কর্মচারীদের বেতন প্রদানের নাম করে নেওয়া ঋণ দিয়ে কেনা হয়েছে একটি নীল ল্যাম্বরগিনি হুরাকান ইভি।এছাড়া ঋণের টাকায় লক্ষ লক্ষ টাকার ব্র্যান্ডেড জামাকাপড় কেনা হয় ও পাঁচ তারা রিসর্টের বিল মেটানো হয়।

তদন্তে দেখা যায়, বিবরণীতে উল্লেখ করা কর্মচারীদের কোনো অস্তিত্ব নেই। কয়েকজনের খোঁজ পাওয়া গেলেও সংখ্যাটি ঋণের আবেদনে দাবি করা সংখ্যার ধারেকাছেও নেই। রাজ্যের কর বিভাগ এবং ব্যাঙ্ক বিবরণীতে তাঁর আবেদনের পক্ষে কর্মীদের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

[ আরও পড়ুন : করোনার ভয়ে মাস্ক পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে বানর! (ভিডিও) ]

এ পর্যন্ত ধরা পড়া জালিয়াতদের মধ্যে ডেভিড টি হাইনসকে সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী দেখা গিয়েছে। তিনি কর্মচারীদের জন্য কোনো অর্থ না নিয়ে করোনা মহামারির ত্রাণের অর্থ দিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন। তাঁকে ২৭ জুলাই রাজ্যের চিফ ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক জন সুলিভানের আদালতে পেশ করে অভিযোগ আনা হয়েছে।

সুত্র: Oneindia

আরও পড়ুন ::

Back to top button