জানা-অজানা

দশকের পর দশক করোনাভাইরাস বয়ে বেড়াচ্ছে বাদুড়

দশকের পর দশক করোনাভাইরাস বয়ে বেড়াচ্ছে বাদুড়

মানুষকে সংক্রমিত করতে সক্ষম এমন বহু করোনাভাইরাস কয়েক দশক ধরে সবার অলক্ষ্যে বয়ে বেড়াচ্ছে বাদুড়। কোভিড-19 এর সবচেয়ে কাছের একটি পূর্বপুরুষ ৪০ থেকে ৭০ বছর আগে বাদুড়ের শরীরে আত্মপ্রকাশ করে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। খবর বিবিসির।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটা মানুষের শরীরে প্রবেশের জন্য উপযুক্ত হতে কিছুটা সময় নেয়। তাদের এমন দাবির ফলে, করোনাভাইরাস ল্যাবে সৃষ্টি করা হয়েছে-এই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে আরও সন্দেহ তৈরি হলো।

নেচার মাইক্রোবায়োলজি জার্নালে এ নিয়ে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। ওই গবেষণায় কাজ করেছেন গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড রবার্টসন।

তিনি বলেন, বাদুড় বহন করে এমন ভাইরাসের সঙ্গে জেনেটিক্যালি খুব গভীর নৈকট্য রয়েছে সার্স-সিওভি-2 ভাইরাসের। তবে তাদের মধ্যে কয়েক দশকের সময়ের পার্থক্য আছে।

[ আরও পড়ুন : ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তানের ১৭০টি ট্যাংক গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারত! ]

বিবিসিকে অধ্যাপক রবার্টসন বলেন, এর মানে দাঁড়াচ্ছে মানুষের শরীরে প্রবেশের অনেক আগে থেকেই ভাইরাসটির অস্তিত্ব ছিল।

তিনি বলেন, কোথায় বা কীভাবে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করেছে তা আমাদের জানতে হবে। যদি এখন আমরা বিশ্বাস করি এই জেনারেলিস্ট ভাইরাস বাদুড়ের মধ্যে ছড়াচ্ছে, তাহলে এটা পর্যবেক্ষণে আমাদের আরও ভালো হতে হবে।

ব্রিটিশ এই বিজ্ঞানী বলেন, যদি আমরা ভবিষ্যতে আরও মহামারি ঠেকাতে চাই, তাহলে মানুষে উদীয়মান বিভিন্ন রোগের আরও বেশি নজরদারি এবং বন্য বাদুড়ের আরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করা দরকার।

[ আরও পড়ুন : সফল লোকদের মতে জীবন সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ]

তিনি বলেন, যদি এই ভাইরাসগুলো বহু বছর ধরে বাদুড়ের শরীরে থাকে, তার মানে হচ্ছে এটা মানুষসহ নতুন একটা হোস্ট প্রজাতি খুঁজছিল এতদিন ধরে।

বিজ্ঞানীরা সার্স-সিওভি-2 ও বাদুড়ের শরীরে পাওয়া যায় এমন একটি ভাইরাস, যা আরএটিজি13-সহ আরও কয়েকটি সংশ্লিষ্ট ব্যাট ভাইরাসের তুলনা করে দেখেন। সেখানে তারা দেখতে পান যে, এই দুই ভাইরাসের পূর্বপুরুষরা কয়েক দশক আগে আলাদা হয়ে যায়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button