ইডি-র হাতে সুশান্তের সঙ্গে চ্যাটের তথ্য প্রমাণ তুলে দিলেন অঙ্কিতা
সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যু তদন্তে জড়িয়ে পড়েছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টোরেট-ও। এর আগে সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে নেমে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে ইডি (Enforcement Directorate) রিয়া চক্রবর্তীর (Rhea Chakraborty) বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছে।
ইডির উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা জানিয়েছেন সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে জোর করে টাকা তোলার দাবিতে রিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এবার তদন্তের খাতিরে সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখান্ডের সঙ্গে তাঁর WhatsApp চ্যাটের তথ্য বাজেয়াপ্ত করল ইডি।
সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই অঙ্কিতা লোখান্ডে বার বার দাবি করেছেন সুশান্ত আত্মহত্যা করার মতো ছেলে নন। তিনি এও দাবি করেছিলেন, রিয়ার সঙ্গে সুশান্তের সম্পর্ক ভালো ছিল না। সেকথা নাকি অভিনেতা নিজেই তাঁকে বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছিলেন। রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে তিক্ততা নাকি এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার কথাও প্রাক্তনকে জানিয়েছিলেন সুশান্ত।
[ আরও পড়ুন : সুশান্তকে নিয়ে বোনদের আবেগঘন বার্তা ]
বিহার পুলিশের কাছেই প্রথম বার মুখ খুলেছিলেন সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখন্ডে। বিহার পুলিশকে অঙ্কিতা জানান, ২০১৯-সালে তাঁর প্রথম সিনেমা মনিকর্ণিকা- দ্যা ক্যুইন অফ ঝাঁসি মুক্তির সময় সুশান্তের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তখনই সুশান্ত তাঁকে জানান তিনি রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। মেসেজ করে তাঁর ডেবিউ ছবির জন্য শুভেচ্ছা জানান সুশান্ত।
এই সূত্রেই তাঁদের খানিক কথোপকথন হয়। অঙ্কিতা বলেন, ‘কথা বলতে গিয়ে সুশান্ত খুবই আবেগি হয়ে পড়ে। জানায় রিয়ার সঙ্গে এই সম্পর্কে ও খুশি নেই। রিয়া প্রতিনিয়ত ওকে উত্যক্ত করে। রিয়ার ব্যবহারে ও খুবই অসন্তুষ্ট। খুব তাড়াতাড়ি এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল সুশান্ত’। এবার এই সব চ্যাটেরই তথ্য প্রমাণ ইডি-র হাতে তুলে দিলেন অঙ্কিতা লোখান্ডে (Ankita Lokhande)।
অন্যদিকে, বিহারের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ গুপ্তেশ্বর পান্ডে এদিন মুম্বই পুলিশকে সরাসরি প্রশ্ন করেন কেন তাঁরা সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে নেমে টাকা তছরুপের দিকটা খতিয়ে দেখছেন না। একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘গত চার বছরে সুশান্তের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫০ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে পুরো টাকাটাই সেই অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে।
[ আরও পড়ুন : ‘রিয়াকে কি ভালবাসেন’, প্রশ্ন শুনতেই কী প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন সুশান্ত, ভাইরাল ভিডিও ]
এক বছরে ওঁর অ্যাকাউন্টে ১৭ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। তারমধ্যে ১৫ কোটিই তুলে নেওয়া হয়েছে। এটা কি তদন্তের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নয়? আমরা কিন্তু চুপ করে বসে থাকব না। আমরা মুম্বই পুলিশকে প্রশ্ন করছি, কেন এই ধরনের লিড ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে।’
সুত্র : এই সময়