জাতীয়

বৃহস্পতিবারে বড় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর, উপকৃত হবেন কয়েক লাখ সাধারণ মানুষ

বৃহস্পতিবারে বড় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর, উপকৃত হবেন কয়েক লাখ সাধারণ মানুষ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার কর সংস্কারের কথা ঘোষণা করবেন স্বচ্ছ কর ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে। এর লক্ষ্য হল সহজে কর জমা এবং তা ফেরত দেওয়ার মাধ্যমে সৎ করদাতাদের সুবিধা দেওয়া।এই প্লাটফর্ম চালু করা হবে কর সংস্কারের যাত্রাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে। করদাতাদের সুবিধার্থে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্টর ট্যাক্সেস (সিবিডিটি) যেসব পদক্ষেপ নেবে সেগুলি অনুসরণ করেই তা করা হবে।

সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে সিবিডিটি প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বড়োসড়ো সংস্কার করেছে। যার মধ্যে রয়েছে গতবছর কর্পোরেট ট্যাক্সের হার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ শতাংশ করা‌ হয়েছে বর্তমান কোম্পানিগুলির ক্ষেত্রে এবং ১৫ শতাংশ করা হয়েছে নতুন ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটের জন্য।

ডিভিডেন্ড ডিস্ট্রিবিউশন ট্যাক্স তুলে দেওয়া হয়েছে। কর সংস্কারের ফোকাস হল করের হার কমানো এবং প্রত্যক্ষ কর আইন সরলীকরণ করা। আয়কর দপ্তরের কার্যক্ষমতা দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে সিবিডিটি। যার মধ্যে রয়েছে ডকুমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (ডি আই এন) এবং প্রিফাইলিং ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন । এর মাধ্যমে করদাতাদের কাজ আরও সহজ হবে।

[ আরও পড়ুন : করোনা রোগীদের ফোনের কল রেকর্ড ব্যবহার করা হবে কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ে এই রাজ্যে ]

নতুন স্টার্টআপ সংস্থাদের জন্য এই কাজ অনেক সরলীকরণ করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে ‘বিবাদ সে বিশ্বাস অ্যাক্ট ২০২০’ আনা হয়েছে কর সংক্রান্ত বিবাদ মেটানোর উদ্দেশ্যে। করদাতাদের ক্ষোভ যা বিভিন্ন অ্যাপিলেট কোর্টে রয়েছে তা কমিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত,লকডাউন শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনা সংকট মোকাবিলায় ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। ‌ তার ঠিক পরেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন একগুচ্ছ ঘোষণা করেন যার মধ্যে ছিল আয়ের উৎস থেকে কর কাটা (টিডিএস) এবং সূত্রে আদায় করা কর (টিসিএস) ছাড়ের কথা।

তখন প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ (সিবিডিটি) এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। তবে মনে রাখা দরকার টিডিএস টিসিএস কম কাটার অর্থ এই নয় যে আয় বাড়ছে। সরকারের ওই পদক্ষেপের ফলে করদাতাদের হাতে বাড়তি নগদের ব্যবস্থা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে করদাতাদের কাছ থেকে কর বাবদ টাকা কেটে নেওয়া হয়।

[ আরও পড়ুন : ভারত কবে আসতে চলেছে রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন! জানেন কী? ]

তারপর বছরের শেষে মোট আয়ের হিসেব করে বাকি কর দিয়ে দেওয়া হয় । আর যদি কোন কারণে বেশি কর দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে রিটার্ন ফাইলের সময় সে কথা জানিয়ে রিফান্ডের আবেদন করে থাকেন করদাতারা।

সুত্র : কলকাতা ২৪x৭

আরও পড়ুন ::

Back to top button