দু’মাস কেটে গেছে, এখনও ওই রাত আমাদের কাছে দুঃস্বপ্ন
আজ ১৪ আগস্ট। এর ঠিক দুমাস আগে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান সুশান্ত সিং রাজপুত। দুমাস আগে সেই দিনটি সুশান্তের ক্যালিফোর্নিয়াবাসী বোন ও দুলাভাইকে কীভাবে বিধ্বস্ত করে তুলেছিল সম্প্রতি নিজের ব্লগে সেকথাই লিখলেন সুশান্তের জামাইবাবু বিশাল কীর্তি। যেখানে তিনি সেদিনকার সেই দুঃস্বপ্নের রাতের কথা তুলে ধরেছেন।
বিশাল লিখেছেন, দিনটা রবিবার, তাই সাপ্তাহিক ছুটিতে আমাদের ফোন ভাইব্রেশন মোডে ছিল। যাতে ছুটির দিনে অবান্তর ফোন না ধরতে হয়। সেই ভয়ঙ্কর ফোনটা যখন বেজেছিল তখন প্রায় রাত ২ টা (ভারতীয় সময়ে সকালের দিকে)। ফোনটা বিছানা থেকে কিছুটা দূরেই ছিল। কেন ফোন করছে কোনও ধারণা ছিল না।
[ আরও পড়ুন : অবশেষে করোনামুক্ত অমিত শাহ, আপাতত থাকবেন হোম আইসোলেশনে ]
যাইহোক আমি ফোনটা ধরতে গেলাম। ধরার আগেই স্ক্রিনে ভেসে ওঠা মেসেজ চোখে পড়ল। দেখলাম, অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে, বাড়ির লোকজনও। সবাই জিজ্ঞাসা করছে খবরটা কি সত্যি। খবরটা দেখেই আতকে উঠলাম। সুশান্ত নিজেকে শেষ করে ফেলেছে বলে দাবি করা হয়েছে। আমি শ্বেতার ফোন চেক করতে দেখলাম সেখানেও অনেক মেসেজ ও ফোন।
শ্বেতাকে কীভাবে খবরটা জানিয়েছিলেন, সেকথাও লিখেছেন সুশান্তের জামাইবাবু বিশাল। লিখেছেন, আমি জীবনের সবথেকে কঠিন কাজটা করলাম, যেটা আগে কোনওদিনও করিনি। শ্বেতাকে কথাটা জানাতেই ওর প্রতিক্রিয়া এখনও আমার চোখের সামনে ভাসছে। ও রানিদিকে ফোন করে অঝোরে কাঁদতে শুরু করল। ওই রাতটা কোনওদিনও ভুলব না। এই একটা ঘটনায় আমাদের জীবন বদলে দিল। পরের দিন সকাল আমাদেরও সকালটা আমার, পরিবার, ছেলেমেয়েদের কাছে চ্যালেঞ্জিং ছিল।
[ আরও পড়ুন : মানসিক রোগী ছিলেন না সুশান্ত ]
বিশাল কীর্তির কথায়, বিশ্বমহামারীর এই পরিস্থিতিতে বিমানের টিকিট পাওয়াটা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমি এই কথাগুলো আজ বলছি কারণ, দুমাস হয়ে গেল আমরা এখনও কঠিন লড়াই করে যাচ্ছি। এখনও আমাদের চোখে জল। ওই রাতটা আমাদের কাছ থেকে কী কেড়ে নিল, তা ভাষায় বোঝাতে পারবো না। আমাদের জীবনটা আরও কোনওদিনও আগের মতো হবে না। আমরা এখনও স্মৃতি নিয়েই বেঁচে আছি। কী এমন ঘটলো, যে সুশান্ত আর রইল না।…