বিনোদন

সিবিআইয়ের তলব পাননি রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবার

সিবিআইয়ের তলব পাননি রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবার
রিয়া চক্রবর্তী

সিবিআইয়ের তলব পাননি রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবার। ডাক পেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অবশ্যই তাঁরা এজেন্সির কাছে যাবেন। জানালেন, সুশান্তের প্রেমিকা অভিনেতা রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবী।
১৪ জুন সুশান্তের মৃত্যু হয়। তার এক-দেড় মাস পর্যন্ত জনতার ধারণা ছিল, বলিউডের প্রভাবশালীদের স্বজনপোষণের কারণে মানসিক অবসাদে ভুগে আত্মহত্যা করেছেন ‘‌কাই পো চে’‌ খ্যাত অভিনেতা।

কিন্তু ঘটনার মোড় ঘুরে গেল ২৫ জুলাই। যেদিন পাটনায় সুশান্তের প্রেমিকা রিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর করেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং। অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন রিয়া। টাকার নয়ছয় করেছেন।

১৯ আগস্ট শীর্ষ আদালত বুধবার রায় দিয়েছিল, সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তভার দেওয়া হবে সিবিআইয়ের ওপর। তদন্তে সাহায্য করবে মুম্বই পুলিশ। এছাড়াও তাদের বক্তব্য ছিল, পাটনায় দায়ের হওয়া এফআইআর-এ কোনও ভুল নেই। মুম্বই পুলিশ একে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে না।

এই আদালতে পেশ করা মামলার রেকর্ডগুলি কোথাও একথা বলছে না যে মুম্বই পুলিশ কোনও জালিয়াতি করেছে। তবে, মুম্বইয়ে যাওয়ার পর বিহার পুলিশ দলটিকে বাধা দেওয়াটা ঠিক হয়নি। এতে তাদের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে মানুষের মনে।

[ আরও পড়ুন : বিতর্কের মুখে ইনস্টাগ্রাম ছাড়লেন সূরজ পাঞ্চালী ]

এর আগে দু’‌বার ইডির মুখোমুখি হয়েছিলেন রিয়া। দ্বিতীয়বার প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে রিয়া চক্রবর্তীকে জেরা করেছে ইডি। সুশান্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বিশাল অঙ্কের টাকা সরানোর অভিযোগ উঠেছে রিয়ার বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে ১৫ কোটি টাকার ‘‌সন্দেহজনক লেনদেনের’‌ গন্ধ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু পরে ইডি জানায়, রিয়া বা রিয়ার পরিবারের কারওর অ্যাকাউন্টে সে টাকা ঢোকেনি।

গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইয়ের হাতে মামলার তদন্তভার দেওয়ার পর শুক্রবার থেকে মুম্বইয়ে রয়েছে সিবিআইয়ের একটি বিশেষ দল। সোমবার সকালে এই সংস্থার কর্মকর্তাদের একটি দল তদন্তের অংশ হিসাবে মুম্বইয়ের পূর্ব অন্ধেরির ওয়াটারস্টোন হোটেল পরিদর্শন করেছে।

রবিবার সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি এবং রাঁধুনি নীরজকে ৫ ঘণ্টা জেরা করে সিবিআই। দু’‌জনকেই এই নিয়ে পরপর তিনদিন ডাকা হল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের দপ্তরে।

 

সুত্র: আজকাল.in

আরও পড়ুন ::

Back to top button