বিনোদন

সুশান্তের ম্যানেজার দিশাকে ঘিরে আরও রহস্য, মৃত্যুর ১০ দিন পরও সচল ছিল মোবাইল!

সুশান্তের ম্যানেজার দিশাকে ঘিরে আরও রহস্য, মৃত্যুর ১০ দিন পরও সচল ছিল মোবাইল!

সিবিআই এর হাতে গিয়েছে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তভার। ইতোমধ্যে শুরু বয়েছে তদন্ত। বার কয়েক সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটেও হানা দিয়েছে সিবিআই। ইতোমধ্যে দেরা করেছে সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানী-সহ দুই পরিচারককে। কিন্তু সবার বয়ানেই অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে সিবিআই।

এবার সামনে আসলও আরও একটি অবার করা তথ্য। মত্যুর পরও বেশ কিছুদিন সক্রিয় ছিল সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের ফোন। সুশান্তের মৃত্যুর ৬ দিন আগেই ৮ জুন রহস্যজনক মৃত্যু হয় দিশা সালিয়ানের। বলা হয় তিনি একটি বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

কিন্তু তাঁর মৃত্যুর একসপ্তাহ পরও সক্রিয় ছিল দিশার ফোন। একটি সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৯ থেকে ১৭ জুনের মধ্যে বেশ কয়েকটি ইন্টারনেট কল করা হয়েছে দিশার ফোন থেকে। যদিও কে বা কারা তার ফোন ব্যবহার করেছে তা স্পষ্ট নয়।

[ আরও পড়ুন : নগ্ন ভিডিও প্রকাশ নিয়ে আবেগঘন ফেসবুক স্ট্যাটাস প্রভার ]

মৃত্যুর দুদিন আগে দিশার ফোন থেকে তিনটে ইন্টারনেট করা হয়েছিল। অর্থাৎ ৬ জুন সেই ফোনগুলি করা হয়। ৭ জুন রাত ১২.০২ এবং ১২.৫৭ মিনিটে দুটি ইন্টারনেট কল করা হয়। এদিন দিশার ফোন থেকে মোট ৩৬ টি কল করা হয়। যদিও ১২.১০-এ দিশা ফোন করেছিলেন বন্ধু একতাকে। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, দিশার মৃত্যুর খবর সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে দেওয়া হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যে তাঁরা এসে উপস্থিত হন। কিন্তু দিশার ফোন পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেননি।

দিশার মা-বাবা মেয়ের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলেই বলে এসেছেন প্রথম থেকে। যদিও পরবর্তীতে তাঁরা একটি মামলা করেন। এছাড়াও পরবর্তীতে বলা হয় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছিল অভিনেতা সূরজ পাঞ্চোলির সন্তানের মা হতে চলেছিলেন দিশা। সূরজের হাত থেকে দিশাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন সুশান্ত। যদিও এই প্রশ্নের ভিত্তিতেই ছেলে সূরজ পাঞ্চোলির হয়ে মুখ খুলেছিলেন বাবা আদিত্য পাঞ্চোলি এবং মা জরিনা।

তাঁদের মন্তব্য, ‘সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে কোনও যোগ নেই সূরজের।’ তাঁদের দাবি, প্রেম তো দূর অস্ত্, তিনি দিশা সালিয়ানকে চিনতেনই না। সংবাদমাধ্যমে তাঁর মৃত্যুর খবর পড়েছেন। তাঁর সঙ্গে সুশান্তের সম্পর্ক ভালো ছিল বলেও জানিয়েছেন সূরজ। এদিকে গণেশ চতুর্থীর শুভেচ্ছা জানানোর পর থেকেই ট্রোল হতে শুরু করেন সূরজ। বাধ্য হয়ে ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেন ইনস্টাগ্রাম।

 

সুত্র : এই সময়

আরও পড়ুন ::

Back to top button