রাজ্য

‘একের পর এক ক্ষতির মুখে রাজ্য, পাশে নেই দিল্লি’: মুখ্যমন্ত্রী

'একের পর এক ক্ষতির মুখে রাজ্য, পাশে নেই দিল্লি': মুখ্যমন্ত্রী

করোনা পরিস্থিতি শুরুর পর থেকেই একের পর এক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে রাজ্য। রোজগার কমেছে এবং খরচ বেড়ে গিয়েছে। দিল্লির তরফে মিলছে না পর্যাপ্ত ফান্ড, ফের কেন্দ্রকে দুষলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন নবান্নে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘মার্চ মাসে অতিমারী করোনা ভাইরাসের আগমনের পর থেকেই আমরা প্রচুর ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছি। উপার্জন নেই শুধুই জ্বলছি। দিল্লির যে পরিমাণ ফান্ড রাজ্যগুলিতে বিতরণ করা উচিত, তা তাঁরা করছে না’।

আজকের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দুর্যোগের জন্য প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে। ১২ লক্ষ কিষাণ ক্রেডিট কার্ড যুক্ত করা হয়েছে। বৃষ্টিতে চাষের জমিতে জল জমেছে। জল জমে থাকলে শস্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ১০০ দিনের কাজের কাজে লাগিয়ে জমা জল বের করতে হবে’।

করোনা প্রসঙ্গে তিনি এও জানান, ‘বাংলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত ধরা পড়ে ২৩ মার্চ। করোনার ফলে প্রচুর খরচ বেড়েছে, আয় কমেছে’।

[ আরও পড়ুন : সেপ্টেম্বরের শেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসতে পারে: মমতা ]

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, ‘পশ্চিম বর্ধমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে কেন? প্রতিবেশী রাজ্য থেকে করোনা আক্রান্ত এলে হিসেব রাখতে হবে। অন্য রাজ্য থেকে এলে সেটা সেই রাজ্যের হিসেবে ঢুকবে। ভিন রাজ্য থেকে এলেও, চিকিত্‍সা যেন করা হয়। মৃত্যুর হার কমেছে, কিন্তু অন্য রোগ হলেও করোনায় ঢুকছে’।

ঘূর্ণিঝড় আমফান নিয়ে সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণ যারা পাননি, এদিন তাঁদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘সাতদিনের মধ্যে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। করোনাকে দেখিয়ে অন্য কাজ বন্ধ করা যাবে না’। এছাড়াও বকেয়া টাকা পাচ্ছি না বলে কাজ বন্ধ করা যাবে না, বলেও জানান তিনি। কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত এই প্রথম নয়। বছরের শুরু থেকেই নানা ইস্যুতে তোপ দেগেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

সেই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, সেপ্টেম্বরের শেষে হয়তো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসতে পারে। ২০-২৫ তারিখ নাগাদ নিয়ন্ত্রণে আসবে, এমনটাই তো বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ফের জেলায় জেলায় যাব।

সুত্র : কলকাতা24×7

আরও পড়ুন ::

Back to top button