জাতীয়

শীঘ্রই করোনা ভ্যাকসিন পেতে চলেছে বাংলা, জানুয়ারিতে হবে গণটিকাকরণ, দাবি নাইসেডের

শীঘ্রই করোনা ভ্যাকসিন পেতে চলেছে বাংলা, জানুয়ারিতে হবে গণটিকাকরণ, দাবি নাইসেডের

সব অপেক্ষার অবসান; সব জল্পনারও অবসান। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসেই, পশ্চিমবঙ্গের হাতে আসছে; করোনা ভাইরাসের টিকা ‘কোভ্যাকসিন’। আগামী মাসেই, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই করোনা টিকার; তৃতীয় দফায় ট্রায়াল শুরু হবে। হায়দরাবাদের ‘ভারত বায়োটেক’ ও আইসিএমআরের (ICMR) যৌথ উদ্যোগে; সেই ট্রায়ালের অন্যতম শরিক বাংলাও।

আর ঠিক চার মাসের মাথায়; জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে করোনা ভ্যাকসিন পাবে পশ্চিমবঙ্গ। দেশের শীর্ষ স্বাস্থ্য সংস্থা, আইসিএমআরের বাংলার দায়িত্বে থাকা; নাইসেড ডিরেক্টর ডাঃ শান্তা দত্ত, এমনই আশার কথা শুনিয়েছেন।

ভারতে তিন করোনা টিকার; দুটি পৌঁছাল তৃতীয় ও শেষ স্টেজে। ভারতে করোনার প্রতিষেধক বা করোনা টিকা গবেষণার প্রশ্নে; এই মুহূর্তে তিনটি টিকা মানব শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এই তিনটি হল, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনা প্রতিষেধক ‘কোভিশিল্ড’; ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআরের করোনা টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ ও জাইডাস ক্যাডিলার ‘জাইকোভ-ডি’ টিকা।

জাইডাস ক্যাডিলার টিকা ‘জাইকোভ-ডি’; মানবদেহে প্রয়োগের প্রথম ধাপ পেরিয়েছে। আর, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা টিকা ‘কোভিশিল্ড’; পৌঁছে গেছে তৃতীয় ও শেষ দফার পরীক্ষায়। ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআরের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকারও; তৃতীয় দফার ট্রায়ালও শুরু হচ্ছে। সব ঠিকঠাক চললে; ৪-৫ মাস পরেই ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকা এসে যাবে বাজারে; মানুষের ব্যবহারের জন্য।

[ আরও পড়ুন : টিস্যুতে থেকে গিয়েছিল ভাইরাস, গর্ভেই নষ্ট হল ভ্রুণ ]

একবার এই ভ্যাকসিন শরীরে ঢুকলেই; করোনার বিরুদ্ধে তৈরি হবে জীবনভর প্রতিরোধ ক্ষমতা; এমনটাই দাবি নাইসেডের। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, উত্তরপ্রদেশ, চেন্নাই, হায়দরাবাদ এবং দিল্লি-তেও; পৌঁছে যাবে এই ভ্যাকসিন। মার্চ মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে; গোটা দেশে পৌঁছে যাবে; এই করোনার প্রতিষেধক।

নাইসেড ডিরেক্টর ডা শান্তা দত্ত মঙ্গলবার বলেছেন; “ভারত বায়োটেক সংস্থার করোনা ভ্যাকসিনের; আগস্টের ট্রায়াল সফল। সেপ্টেম্বর মাসে দেশের বাছাই করা, পাঁচটি শহরে; তৃতীয় দফার ট্রায়াল হবে। সেই ট্রায়ালে অন্যতম অংশীদার পশ্চিমবঙ্গ। অন্তত এক লক্ষ নাগরিক এই ট্রায়ালে অংশ নেবেন”।

নাইসেড অধিকর্তার কথায়; “এই ট্রায়াল সফল যে হবে; সে বিষয়ে আশাবাদী সকলে। তার ঠিক চারমাস পর; পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভ্যাকসিন আসবে। শুরু হবে গণটিকাকরণ”। শান্তা দত্তের কথায়, “নিয়ম অনুযায়ী তৃতীয় দফায় ভ্যাকসিনের ফল কেমন হল; তা যাচাই করতে চার থেকে ছমাস সময় লাগে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমতি সাপেক্ষে; জানুয়ারি মাসেই করোনা ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে”।

 

সুত্র: The NEWS বাংলা

আরও পড়ুন ::

Back to top button