জাতীয়

পুলওয়ামা হামলায় বড় ভূমিকা ছিল এই তরুণীর

পুলওয়ামা হামলায় বড় ভূমিকা ছিল এই তরুণীর

পুলওয়ামা হামলায় বড় ভূমিকা ছিল কাশ্মীরের এক তরুণীর। ২৩ বছর বয়সি ইনশা জানের মাধ্যমে খবর পাচার হত জইশ-ই-মহম্মদের কাছে। ২৬/‌১১ মুম্বই বোমা হামলার মূলচক্রী মাসুদ আজহারের ভাগ্নে মহম্মদ উমর ফারুকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর।

জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) ১৩,৫০০ পাতার একটি চার্জশিটে প্রকাশ করা হয়েছে যে, গত বছর জইশ-ই-মোহাম্মদ জঙ্গী সংগঠনের সন্ত্রাসবাদীরা যে মারাত্মক আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল পুলওয়ামায়, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এক মহিলা। পরে তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

এনআইএ-এর দাবি, ইনশা জানের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধান বোমা প্রস্তুতকারক মহম্মদ উমর ফারুকের সম্পর্ক ছিল। উমর ফারুক আদপে ২৬/‌১১ মুম্বই বোমা হামলার মূলচক্রী মাসুদ আজহারের ভাগ্নে। পুলওয়ামা হামলাতেও মূলচক্রী হিসেবে মাসুদ আজহারের নামই উঠে এসেছিল। ফোন এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যোগাযোগ করত ইনশা ও ফারুক।

[ আরও পড়ুন : শীঘ্রই করোনা ভ্যাকসিন পেতে চলেছে বাংলা, জানুয়ারিতে হবে গণটিকাকরণ, দাবি নাইসেডের ]

ইনশার বাবাও তাদের সম্পর্কের কথা জানতেন। বাবা ও মেয়ে মিলেই উমর ফারুক, সমীর ডর, আদিল আহমদ ডরের মতো জঙ্গীদের খাবার ও আশ্রয় দিয়েছিলেন। ২০১৮ থেকে ২০১৯-এর মধ্যে একাধিকবার তাঁদের বাড়িতে দু’‌চারদিনের জন্যে থাকত তারা। মার্চ মাসে কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয় ফারুক। এবং আদিল আহমদ ডরই হল সেই ব্যক্তি, সে আত্মঘাতী বোমা নিয়ে পুলওয়ামায় ৪০ জন জওয়ানের গাড়িতে বোমা হামলা করে।

একজন উচ্চপদস্থ এনআইএ কর্মী জানালেন, ‘‌তাদের সমস্ত মেসেজ আমরা চেক করেছি। তাদের কাজের ক্ষেত্রটি ধরা গিয়েছে। চার্জ শিটে সবকিছু বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে।’‌
এখনও পর্যন্ত যা ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনার পরে যে ভিডিওটি প্রকাশ করেছিল জঙ্গীরা, সেটি এই মহিলার বাড়িতেই শুট করা হয়েছিল।

শুট হয়েছিল হামলার আগে। যেকানে নেপথ্যে গলা পাওয়া যায় সমীরের। এবং ক্যামেরার সামনে ছিল আদিল। মনে করা হচ্চে, পুলিশ বাহিনীর চলাফেরার সমস্ত খবর ইনশার কাছ তেকেই ফারুকের কাছে পৌঁছাত।

 

 

সুত্র: আজকাল.in

আরও পড়ুন ::

Back to top button