স্বাস্থ্য

করোনা উপসর্গের স্থায়িত্ব নিয়ে গবেষণায় নতুন তথ্য

করোনা উপসর্গের স্থায়িত্ব নিয়ে গবেষণায় নতুন তথ্য

করোনাভাইরাসের উপসর্গ প্রথম দিকের ধারণার চেয়েও মানুষের শরীরে বেশিদিন স্থায়ী হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন। প্রায় ৮ মাসের মতো সময়ে আড়াই কোটির বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সাধারণ জনগণ এবং বিশেষজ্ঞরা ভাইরাসটির ব্যাপারে এখনও নিত্য-নতুন তথ্য পাচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের শরীরে ভাইরাসটির উপসর্গ প্রাথমিকভাবে যে ধারণা করা হচ্ছিল- তারচেয়েও দীর্ঘদিন ধরে থাকতে পারে।

মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র করোনা পজিটিভ অধিকাংশ মার্কিনিকে উপসর্গ দেখা দেয়ার ১০ দিন পর কর্মস্থল অথবা স্কুলে ফেরার পরামর্শ দিয়েছে। তবে অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কারও চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন হলে তাদের ক্ষেত্রে এই পরামর্শ প্রযোজ্য হবে না।

কিন্তু নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাস এবং এর উপসর্গগুলো নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে শেষ হয় না।

মঙ্গলবার ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এক নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, ভাইরাসটি শরীর থেকে চলে গেছে কিনা, তা জানার জন্য রোগীকে পুনরায় পরীক্ষা করার আগে এক মাসের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে।

আরও পড়ুন : জেনে নিন আপনার উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক ওজন

গবেষণায় বলা হয়েছে, পরীক্ষায় প্রতি পাঁচজনের নেগেটিভ ফলের মধ্যে অন্তত একজনের ফলস নেগেটিভ আসছে। এর অর্থ হচ্ছে— নেগেটিভ ফল পাওয়ার পর অনেকেই নিজেদের অজান্তে ভাইরাসটির বিস্তার ঘটাচ্ছেন।

এমনকি করোনা নেগেটিভ পরীক্ষার পরও অনেক রোগী বলছেন, শরীরে ব্যথা, ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলা, বিষণ্নতার মতো উপসর্গগুলো দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে স্থায়ী হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে সিএনএনের ক্রিস কুমোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডা. উইলিয়াম লি বলেন, আমরা ধারণা করছি— দীর্ঘমেয়াদি এই ক্ষতি রক্তনালীর সমস্যার কারণে হতে পারে।

অর্থাৎ ভাইরাসটি শরীর থেকে চলে যাওয়ার পরও ক্ষতিকর পদচিহ্ন রেখে যাচ্ছে। তিনি বলেন, গবেষকরা দেখেছেন যে, ভাইরাসটি শরীরের রক্তনালীর ক্ষতি করছে; যা পুরো শরীরকে সংযুক্ত করে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button